পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে ভবন ধসে ৭ জনের মৃত্যুর পর কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি দাবি করেছিল গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়নি। এমনকি তড়িঘড়ি করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনও দিয়েছিল সংস্থাটি। তবে জেলা প্রশাসন গঠিত সমন্বিত তদন্ত কমিটি বলছে ভিন্ন কথা।
গতকাল রোববার দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইপ লাইনের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। ১৭ নভেম্বর সকালে ব্রিকফিল্ড রোডের বড়–য়া ভবনের নিচতলায় ম্যাচের কাঠি জ্বালাতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ধসে পড়ে। এতে ওই ঘরের বাসিন্দা ও পথচারীসহ ৭ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিশ্চিত হন রাইজার থেকে গ্রাহকের পাইপ লাইনের অংশে লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে শুরু থেকেই কর্ণফুলী গ্যাসের কর্মকর্তারা এ দাবি নাকচ করে আসছিলেন।
তারা বলছেন, গ্যাস লাইনের রাইজার এবং চুলা দুটোই অক্ষত ছিল। ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংকের গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলেও দাবি করা হয়। ওইদিন সকালে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিকেলেই প্রতিবেদন দিয়ে বলা হয়, বিস্ফোরণের জন্য তারা দায়ী নন। এদিকে প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের ১৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পাঁচটি সুপারিশ করেছে।
সুপারিশগুলো হলো- ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড নিশ্চিত করা, সিডিএর অনুমোদিত নকশা বহির্ভূতভাবে যে সকল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো দ্রুত পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, কর্ণফুলী গ্যাসের আওতাধীন লাইন ও রাইজার পরীক্ষা করার উদ্যোগ গ্রহণ এবং পরীক্ষার পর ‘গ্যাসের লাইনটি পরীক্ষিত’ সনদ দান, গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস নিঃসরণ চিহ্নিতকরণ এবং সতর্কতা অবলম্বনে জনগণের মাঝে প্রচারণা ও গ্যাস সম্পর্কিত যে কোন ধরনের সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হটলাইন চালু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।