পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষা ও যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক অনেক সমরাস্ত্র। সেনা সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য চলছে নানা মুখী প্রশিক্ষণ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে রামু সেনানিবাসে রেজিমেন্টাল কালার প্যারেড উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ একথা বলেন। সকাল দশটায় তিনি রামু ক্যান্টনমেন্ট এর প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে দশম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্ত ইউনিট সমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ৬, ৯ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন এবং ১৩ ও ১৪ বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট সমূহ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই ধারাবাহিকভাবে প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের এবং এ পর্যন্ত পার্বত্যাঞ্চলে শহীদ সেনাসদস্য ও বিদেশে মিশনে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়ে সেনাবাহিনীর মর্যাদা রক্ষা করেছেন তাদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যেকোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের এবং এটি একটি পবিত্র আমানতও। তিনি আশা প্রকাশ করেন কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম এবং কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ রেজিমেন্টাল কালার এর মর্যাদা এবং সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা অটুট রাখার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহ সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।
অনুষ্ঠানশেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ বলেন, মিয়ানমার আমাদের একটি প্রতিবেশি দেশ। প্রতিবেশির সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা সামাজিক এবং সার্বিকভাবে কল্যাণকর। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী মাসে তার মিয়ানমার সফরের কর্মসূচি রয়েছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা হতে পারে। এক প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন তিনি বিজিবি প্রধান থাকাকালে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা বহাল রয়েছে এবং সেটা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তবে এটি রাতারাতি শেষ করা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দশম পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যদের তত্ত¡বধানে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধানগন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং অসামরিক প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ ও মিডিয়া কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানশেষে সেনাপ্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রদান উপলক্ষে সুশৃঙ্খল মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।