পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক লেনদেন প্রশ্নে কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করতে আলাদা ফরম লাগবে না। তবে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যেন অবৈধ লেনদেন না হয় সে জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনয়ীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নতুন একটি সার্কুলার জারি করে।
সার্কুলারে এতে বলা হয় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন থেকে কেনা পণ্যের মূল্য বিদেশে পাঠানো যাবে। তবে অনলাইনে জুয়া খেলা, বৈদেশিক লেনদেন, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা, ক্রিপ্টো কারেন্সি ও লটারির টিকিট কেনার মতো অপরাধমূলক কর্মকান্ড করা যাতে না। অপরাধ কর্মকান্ডে লেনদেন ঠেকাতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সার্কুলারের ফলে গ্রাহককে কোনো অনুমোদন নিতে হবে না।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে আন্তর্জাতিক লেনদেনে কড়াকড়ি আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, বিদেশি অবৈধ লেনদেন করা যাবে না। পাশাপাশি কার্ডে কী ধরনের লেনদেন হচ্ছে, গ্রাহককে তারও হিসাব রাখতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা একটি ফরমও নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক লেনদেনে অনুমোদিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহক এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩শ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ নিতে পারেন। কিন্তু অনলাইনে পণ্য কেনাকাটার নামে এই সুযোগের অপব্যবহার করছেন অনেকেই। আর এই কারণে গত ১৪ নভেম্বর অনলাইনে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা, জুয়া ও লটারিতে অংশ নেওয়াসহ আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের ‘অপব্যবহার’ রোধে সাকুর্লার জারি করে কেন্দ্রীয় বাংক।
ওই সার্কুলারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে বিদেশি পণ্য বা সেবা কিনতে হলে গ্রাহককে অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফর্ম (ওটিএএফ) পূরণ করে মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেট প্লাটফর্মের মাধ্যমে বা হার্ড কপি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংক যাচাই-বাছাই করে অসঙ্গতি না পেলে ক্রেডিট কার্ডকে লেনদেনের জন্য সক্রিয় করে দেবে। অনুমোদন ছাড়া অনলাইনে ডলারের কেনাকাটায় কার্ড কাজ করবে না। এর ফলে অনলাইনে বিদেশি পণ্য বা সেবা কিনতে ডলার পরিশোধের ক্ষেত্রে কার্ড ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে জমা দিয়ে ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হতো। এ নিয়ম ‘বাস্তবসম্মত নয়’ বলে দাবি করেছিল আইটি ফার্মগুলো।
আইটি ফার্মগুলোর অভিযোগ ও দাবি পর্যালোচনার জন্য একটি বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই বৈঠকে কয়েকটি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশন ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তার একদিন আগেই গতকাল বৈঠক হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ন কবীর, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, সহসভাপতি শোয়েব আহমেদ মাসুদ, মুশফিকুর রহমান, ১১টি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে নতুন সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।