পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পার্কে (এরশাদের বাসভবন) অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে এই জিডি করেছেন এরশাদ ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেজর (অব.) খালেদ আখতার। গতকাল শনিবার বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদ আখতার নিজেই এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘জিডিতে উল্লেখ করেছি, এরশাদের মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট পার্ক যথারীতি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ট্রাস্টের ওই বাসায় গত ১৪ নভেম্বর এরশাদের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বিদিশা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে তার প্রবেশের আইনগত কোনও অধিকার নেই।
বিদিশা প্রেসিডেন্ট পার্কে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে অবস্থান করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করে খালেদ আখতার বলেন, শুধু তা-ই নয়, তিনি এরিককে প্রভাবিত করে তাকে দিয়েও অনাকাঙ্খিত বক্তব্য প্রচার করে আসছেন।
খালেদ আখতার বলেন, প্রেসিডেন্ট পার্কের ফ্ল্যাটসহ এরশাদের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাস্ট্রের অধীনে, যা তার ছেলে এরিকের ভরণপোষণ ও জনকল্যাণে ব্যয় হবে। এর বাইরে ট্রাস্টের সম্পদের ওপর আর কারও অধিকার নেই।
বিদিশা বেআইনিভাবে প্রেসিডেন্ট পার্কে অবস্থানের কারণে এরিকের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা আছে বলেও দাবি করেন খালেদ আখতার।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বলেন, ট্রাস্টের নিয়ম রয়েছে। ট্রাস্টের লোকজন ছাড়া প্রেসিডেন্ট পার্কে অন্য কারও ঢোকার অধিকার নেই। এরশাদের যে সম্পত্তি তা কেউ ভোগ করতে পারবে না, কেউ দখলও করতে পারবে না। এই সম্পত্তি থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে এরিকের ভরণ-পোষণ ও সামাজিক কাজকর্ম করা হবে।
খালেদ আকতার আরও বলেন, এরিক যে সব বক্তব্য দিয়েছে তা তার নিজের বক্তব্য নয়। তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদিশা প্রেসিডেন্ট পার্কে অবৈধভাবে ঢুকেছেন, তাকে আইনিভাবে বের করে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর, নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর বিদিশা পুত্র এরিক এরশাদকে দিয়ে গুলশান থানায় হুমকি ধমকির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।