পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে সরকারের সব প্রচেষ্টা। স্থলপথ-জলপথ ও আকাশপথে বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার ইতোমধ্যে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আর আমদানি করা সে পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে সরকার বিক্রি করলেও এর কার্যকর কোনো প্রভাব এখনো বাজারে দেখা যাচ্ছে না। বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। গত দু-তিন দিনে পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা কমলেও তা এখনো আকাশছোঁয়া। ৪৫ টাকা কেজি পেঁয়াজের দাম হু হু করে বেড়ে কয়েক দিনে ৩০০ টাকা কেজিতে ঠেকেছিল। সরকারের নানা প্রচেষ্টার পর সেই পেঁয়াজ গতকালও ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কোনো কিছুতেই সরকার পেঁযাজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে পারছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যে দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই হচ্ছে না।
এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে বলে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। সরকারও বলছে, যারা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। সরকারের এই হুমকি-ধামকিতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা এখনো ১৫০ টাকার বেশি দরে বিক্রি করছে। আমদানি মূল্যের চেয়ে চার-পাঁচগুণ বেশি দামে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে আশার কথা যে, এবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে দেশের শীর্ষ ৪৭ পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর সকাল থেকে সংস্থার কার্যালয়ে তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অতি মুনাফার অভিযোগে এ রকম মোট ৩৪১ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। তারাও নজরদারিতে আছে। প্রয়োজনে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বেড়েছে পেঁয়াজের আমদানি। গত কয়েকদিনে মিসর, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসায় দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের আমদানি বেড়েছে। তবে এখনো ঝাঁজ সেভাবে কমেনি। গতকালও রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১৮০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ মানভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে এখন আর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দাম এখন কমতির দিকে। এছাড়া আগামী মাসেই নতুন মৌসুমের দেশি পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে উঠবে। তখন দাম আরো কমে যাবে।
ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পরের দিনই অর্থাৎ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বাজারগুলোতে এক লাফে প্রতি কেজিতে দাম বেড়ে যায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এর পর সে মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের রফতানি বন্ধ ঘোষণার পরই আমদানিকারকরা তাদের দাম বাড়াতে বলেন। ওইদিন দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন আড়তে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলের পর থেকে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এরপর প্রতি ঘণ্টার ব্যবধানে মূল্য বাড়তে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।