পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপালগঞ্জে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির ৫টি গাছ কেটে নিয়েছেন ফরিদপুর বন বিভাগের প্রধান সহকারী জাকির হোসেন শেখ। জাকির হোসেন শেখ গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া আঞ্চলিক সড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শিবপুর ও খেলনা নামক স্থান থেকে ৫টি গাছ গোপনে কেটে আত্মসাতের উদ্দেশে স’মিলে রাখেন। তার বিরুদ্ধে আগেও এ সড়ক থেকে গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে।
ফরিদপুর বন বিভাগের প্রধান সহকারী জাকির হোসেন শেখ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত নওয়াব আলী শেখের ছেলে। ৫টি গাছের মধ্যে ৩টি স’মিলে ও ২টি নিজের বাড়িতে রাখেন বলে স্থানীয়রা জানান।
গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান খানের নির্দেশে গোপালগঞ্জ বন বিভাগ কাজুলিয়া ও দত্তডাঙ্গার দু’টি স’মিল থেকে ৩টি গাছের লক উদ্ধার করেছে। এর আগে মাঝিগাতী উপ-সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম কাজুলিয়া ও দত্তডাঙ্গার দু’টি স’মিলে ওই ৩টি গাছের লক চিহ্নিত করেন।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর ওই সড়কে গাছ কাটার খবর পেয়ে মাঝিগাতী-কাঠি সামাজিক বনায়ন সমিতির সভাপতি আরমান খান ও সমিতির সদস্য আমিনুর কাজী গাছ কাটায় বাঁধা দেন। বাঁধা অমান্য করেও তিনি গাছ কেটে নেন।
কাজুলিয়া স’মিলের মালিক আব্দুল হাকিম মোল্লা জানান, তার মিলে একটি বড় তেলি কদম গাছ রাখেন জাকির হোসেনের সহযোগী মোলাম মোল্লা। তারা এ গাছ চেরাই করে পরে নিয়ে যাবেন বলে জানান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এ গাছ বন বিভাগ স’মিল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, দত্তডাঙ্গার আশরাফুলের স’মিলেও তারা গাছ রাখে। এসব গাছের আনুমানিক মূল্য ১ লাখ টাকা।
অভিযুক্ত ফরিদপুর বন বিভাগের প্রধান সহকারী জাকির হোসেন শেখ আগে এ সড়ক থেকে গাছ কাটার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঝড়ে সড়কে গাছ পড়ে। আমি এ গাছ কেটে স’মিলে পাঠিয়েছি। তবে তিনি গাছ আত্মসাৎ করার উদ্দেশে স’মিলে রাখেননি বলে জানান। তার বাড়িতে কোন গাছ নেই বলে জানান তিনি।
গোপালগঞ্জ বন বিভাগের বন সংরক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দু’টি স’মিল থেকে গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। ফরিদপুর বন বিভাগের প্রধান সহকারী জাকির হোসেন শেখ স’ মিলে গাছ রেখে অন্যায় করেছেন। সেখানে তার গাছ রাখা ঠিক হয়নি।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান খান বলেন, গাছগুলো উদ্ধার করে নিলাম প্রক্রিয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।