প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : প্রয়োজনে নামাজের সামনে জুতা রাখা হলে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না। জুতা যদি পবিত্র হয়, তাহলে তা মসজিদে প্রবেশ করানো বা সংরক্ষণ করা যেতে পারে। খুব ঠান্ডার দেশে, অপারগ ব্যক্তির, কোনো বাহিনীর ইউনিফরম হিসেবে পবিত্র আছে এমন জুতা পায়ে দিয়ে নামাজও শুদ্ধ হয়। জুতা একটি নিম্নমানের পরিধেয় বা অপমানজনক কাজে ব্যবহৃত বস্তু হলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে এটির কোনো দোষ নেই। যে জন্য নাপাকি না থাকার শর্তে এটি পায়ে দিয়ে কিংবা এর ওপর দাঁড়িয়ে জানাযার নামাজও পড়া যায়। আমাদের দেশে জুতা সম্পর্কে প্রচলিত ধারণার আলোকে পারতপক্ষে এটি নামাজের সামনে রাখা আদবের খেলাফ। কাপড় বা আবরণ দিয়ে মুড়িয়ে কিংবা নির্দিষ্ট বাক্সে রাখা উচিত। জুতা পবিত্র হলেও পরিচ্ছন্ন থাকে না। অপরিষ্কার জুতা বিনা দ্বিধায় নামাজের স্থানে রেখে দেয়া ঠিক কাজ নয়। মাসআলা এক বিষয়, আদব আরেক বিষয়। এ দুয়ের সমন্বয়েই নামাজের জায়গায় জুতার সঠিক ব্যবস্থাপনা করা চাই।
সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিচ্ছেন : মুফতী আল্লামা উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।