পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস (সম্মেলন) আজ। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ দিন সকালে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারই প্রথম যুবলীগের নেতাদের বয়সসীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কারো নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই এবার।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশকে চেয়ারম্যান করা হচ্ছে তা মোটামুটি নিশ্চিত এবং যুবলীগের বর্তমান কমিটির নেতাদের মধ্য থেকে একজনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে সম্মেলনে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রেসিডিয়াম মেম্বার অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন দায়িত্ব পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও আলোচনায় যুবলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান আতা, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সুব্রত পাল, মনজুর আলম শাহীন। যদি সংগঠনের অপেক্ষাকৃত তরুণ বয়সের কাউকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে বর্তমান কমিটির প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, কেন্দ্রীয় সদস্য এনআই ইসলাম সৈকত আসতে পারেন।
যুবলীগের নেতারা জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সংগঠনের ৬টি কেন্দ্রীয় কমিটি হয়েছে। এর মধ্যে চারটিতে চেয়ারম্যান ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার নিকটাত্মীয়রা। তাই যুবলীগের প্রতিটি সম্মেলনেই ওই পরিবারের কেউ না কেউ আলোচনায় থাকেন। এবার আলোচনায় আছেন শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে শেখ পরশ। তার চেয়ারম্যান হবার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না তিনি।
যুবলীগের কংগ্রেস প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম বলেন, কংগ্রেসের জন্য মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতীকী পদ্মা সেতুর ওপর বসে সম্মেলনের প্রথম পর্ব উপভোগ করবেন। দ্বিতীয় পর্ব বেলা ৩টায় শুরু হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। এ পর্বেই সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতাদের অনেকেই চেষ্টা চালাচ্ছেন যুবলীগের শীর্ষ পদে আসতে। সূত্র জানায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের কাউকে যদি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয় সে ক্ষেত্রে বাহাদুর ব্যাপারী আসতে পারেন। যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ বলেন, যুবলীগের ইতিহাসে কোনো জাতীয় সম্মেলনেই ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হয়নি। সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনাই নতুন নেতৃত্ব চ‚ড়ান্ত করবেন।
সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেট, অতিথিসহ প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। যুবলীগের সব শেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ১৪ জুলাই। ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান পদে ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হারুনুর রশিদ নির্বাচিত হন। তিন বছর মেয়াদি এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চার বছর আগে। যুবলীগ বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন, যা ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।