পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সঙ্কট নিরসনে পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য উৎপাদন প্রধান এলাকা পাবনা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাগুরাসহ সংশ্লিষ্ট জেলায় পর্যাপ্ত হিমাগার নির্মাণ, টিসিবিকে সক্রিয় করার দাবি জানিয়েছেন বাসদ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
পেঁয়াজ, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কারসাজির সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেফতার ও বিচার করার দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বাসদ নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। বাসদ ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য সচিব জুলফিকার আলী, ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন, প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন ও প্রকৌশলী শম্পা বসু।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাৎসরিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন, দেশে উৎপাদিত হয় ২৪ লাখ মেট্রিক টন, আমদানি ১০ লাখ মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে উৎপাদন ও আমদানি মিলে ৩৪ লাখ আর দেশের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন। ২০% নষ্ট হলেও বাজারে সংকট থাকার কথা নয়। কিন্তু ভারত থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণার অজুহাতে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠায় পেঁয়াজ সিন্ডিকেট। সরকার পেঁয়াজ সংকট নিরসন না করে পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ রাখা কিংবা পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আসছে বলে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ক্ষেপণ করে পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের পকেটে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা লোপাট করতে সহায়তা করেছে। পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের মুনাফার পাশাপাশি চাল, আদা ও রসুনের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে তারাও শত শত কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে লোপাট করেছে। জনগণের পকেট থেকে একদল অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে যখন হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে তখন সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ না করে দাম বৃদ্ধির পক্ষে সাফাই গাইছে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন, সেগুনবাগিচা এলাকা প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচা হাই স্কুল মোড়ে আরো একটি সমাবেশ করে। একই দাবিতে গতকাল বিকেলে খিলগাঁও তালতলা ও সূত্রাপুরের বাহাদুর শাহ পার্কেও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রাপুরে বাসদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানান নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, সূত্রাপুরের বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন পুলিশ বিনা উস্কানীতে হামলা করে মাইক, ব্যানার ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। বাসদ ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ ও সদস্য সচিব জুলফিকার আলী এক বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হামলা আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। একই সাথে সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন, লুণ্ঠন, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।