Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চালকদের দাবিতে অসঙ্গতি আছে কি না দেখা হবে -রাজারবাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৪৮ এএম

পরিবহন চালকদের ৯ দফা দাবি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ দাবিগুলোর মধ্যে কোথাও অসঙ্গতি থাকলে তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে আয়োজিত ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ চলবে। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বেলুন উড়িয়ে এই পক্ষের উদ্বোধন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিবহন চালক ভাইদের লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে একটা জটিলতা ছিল। সেটি নিয়ে গত বুধবার রাতে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের দেয়া দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য চালকদের একটা সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা তাদের লাইসেন্স ঠিক করে নেবেন। আইন না মানা আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ আইন মানতে চায় না। যদি সবাই আইন মেনে চলে, তবে কোনও সমস্যা থাকে না। শুধু ট্রাফিক আইন নয়, সব পর্যায়ে সবাই আইন মেনে চললে অপরাধ অনেক কমবে। সব পর্যায়ে আইন মেনে চলার সংস্কৃতি চালু হোক, এটাই আমার চাওয়া।
তিনি বলেন, মহাসড়কে যারা বাস-ট্রাক চালায়, তাদের দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতে হয়। তাই তাদের নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্রামের প্রয়োজন। একটা চালক আট ঘণ্টা গাড়ি চালানোর পর তাকে বাধ্যতামূলক বিশ্রাম নিতে হবে। মহসড়কে বিভিন্ন জায়গায় চালকদের বিশ্রামের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।

সড়কে আইন প্রয়োগ করতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই বড় হিসেবে পরিচয় দেয় এবং বদলির হুমকি দেয় উল্লেখ করে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশের কেউ যদি সড়কে আইন প্রয়োগ করে তবে এর জন্য কোনও কর্মকর্তা বদলি হবেন না। আমি এটা আশ্বস্ত করছি। তবে সবার ব্যবহার বিনয়ী হতে হবে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রধানত ইঞ্জিনিয়ারিং, এডুকেশন, এনফোর্সমেন্ট এই ট্রিপল ই বিবেচনায় রাখা হয়। এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছাড়াও কয়েকটি সংস্থা কাজ করে। যেমন সিটি করপোরেশন, রাজউক, বিআরটিএ। এর মধ্যে পুলিশ শুধু এনফোর্সমেন্ট দেখে। কিন্তু সড়কে কোনও সমস্যা হলেই সবাই ট্রাফিক পুলিশকে দোষারোপ করেন। একটা সিটির রাস্তা থাকা প্রয়োজন ২৫ শতাংশ। কিন্তু আমাদের আছে মাত্র ৮ শতাংশ। এটি আদর্শ একটি সিটির তিন ভাগের এক ভাগেরও কম। তবুও এটুকু সড়ক ব্যবহার করা হয় না। ট্রাফিক শৃঙ্খলা একটি সভ্য জাতির প্রতীক এই সেøাগান নিয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যে ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ শুরু করেছি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, একটি মহল নিরীহ পরিবহন শ্রমিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। পেঁয়াজ-লবণের পর গুজব পরিবহন সেক্টরে ভর করেছে। দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে তারা।

 

 

 



 

Show all comments
  • বিল্লাল হোসেন। ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:১৩ এএম says : 0
    দেশের অধিকাংশ মানুষ আইন মানে না।ও্ভার টেক করে কত পথচারীকে পিষ্ট করেছে বাংলার দানব যান তার হিসাব নগন্য নহে। হাইড্রোলিক হর্ন নিষেধ, শুনছে কি কোন গাড়ির মালিক।সব মিলিয়ে সাধারন মানুষ সবার কাছে জিম্মি। ভোলায় এক সময় ছিল,মানুষ বাস দুর্ঘটনায় মারা গেলে ২০,০০০/বিশ হাজার টাকা জরিমানি,তাও প্রমান হলে চালকেন দোষ। ভাবা যায় মানুষের মুল্য কত।হোন্ডা প্রয়োজনীয় লোকের চেয়ে চালাক,ভাটপারের বেশী। কাগজ নাই অমুক বিভাগ নেইম প্লেট কি ব্যবস্থা।সুতরাং সরকারি পদক্ষেপ কে সাধুবাদ জানাই সুরাহা হউক এসমস্ত আগাছা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ