পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লায় দিন দিন বাড়ছে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালগুলোর মর্গে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সংরক্ষণাগার (মরচ্যুয়ারি) না থাকায় পুলিশ এসব মৃত্যুর রহস্য ও পরিচয় শনাক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মুছাগড়া এলাকার চিতাখালে চলতি বছরের ৪ জুন ভাসমান এক অজ্ঞাত (৪৫) মহিলার পঁচাগলা লাশ দেখে স্থানীয় গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। লাশের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশ কুমিল্লা মহানগরীর টিক্কাচর কবরস্থানে দাফন করে। ৫ মাসেও পুলিশ ওই হত্যাকা-ের কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি।
পিবিআই কুমিল্লার এসআই মো. নজরুল ইসলাম গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় না পাওয়ার কারণে তাদের হত্যাকান্ড বা মৃত্যুর রহস্য উদ্ধার করতে পারছি না। পুলিশ ওই বেওয়ারিশ লাশের ছবি তুলে দেশের সকল থানা ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পরিচয় উদ্ধারের জন্য প্রচার এবং সংরক্ষণ করে। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের এক সূত্র জানায়, বেওয়ারিশ লাশের গোসল, কাফন শরিয়ত মোতাবেক করে থাকে। তাদের নিজস্ব কোন কবরস্থান নেই। ফলে লাশের পরিচয় উদ্ধার করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে।
এদিকে ১৪ নভেম্বর কুমিল্লার দেবিদ্বারে মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে অন্য এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। জেলার কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার শাইলচর এলাকা থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে একই দিন কুমিল্লায় অজ্ঞাত পরিচয়ে সদর উপজেলার কাচিয়াতলী এলাকা থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে পিবিআই কুমিল্লার এসআই মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কোথাও কোন ঘটনা-দুর্ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হলে প্রথমে পুলিশ গিয়ে হাসপাতালে নেয়। আর নিহত হলে মর্গে পাঠানো হয়। এরপর ওই ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধারের জন্য তার ছবি তোলা, ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়। বেওয়ারিশ লাশের ছবি দেখে অনেকের পরিচয় শনাক্ত হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।