পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, পেঁয়াজের দাম কারা বাড়াচ্ছে? এখন চালের দামও বাড়ছে। এসব পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে একটা সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট চলছে একের পর এক। আমরা দেখতে পারছি-’৭৪ এর সেই করাল ছায়া আবার যেন বাংলাদেশকে গ্রাস করতে চলেছে। সিন্ডিকেটের এই দৌরাত্ম্য আমরা হতে দেবো না। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের জনতার শক্তির রুখে দাঁড়াবার সময় এসেছে। জনতার সঙ্গে সমগ্র ঐক্যবদ্ধ শক্তির একতা এখন আমাদের প্রয়োজন। সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, আজকে গুম-খুন নিত্য দিনের ঘটনা। ক্যাসিনো ধরা পড়ছে। কিন্তু তার কোনো বিচার নাই। কয়েকটা চুনোপুঁটি ধরে আজকে পেঁয়াজ দিয়ে সেটা ঢাকা হচ্ছে। তারপর আসবে চাল, চাল দিয়ে ঢাকা হবে পেঁয়াজের দাম। এভাবে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়বে, একটা দিয়ে আরেকটা ঢাকা হচ্ছে। শুধু একটা ক্ষমতার কর্তৃত্ববাদী হাইব্রিড সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য সাধারণ মানুষ তারা জিম্মি করে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, একটি হায়েনা, স্বৈরশাসক বাংলাদেশকে গ্রাস করছে। আপনারা লক্ষ্য করবেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় সকাল ৬টা থেকে এই রোদে গরমে বৃদ্ধা মহিলা শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে এক কেজি পেঁয়াজের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে ধস্তাধস্তি হচ্ছে, একপ্রকার যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। কেনো তাদেরকে এভাবে পেঁয়াজ কিনতে হয়। কারণ হলো দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের সরকার থাকলে দেশে দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকতো। আর তাদের এভাবে পেঁয়াজ কিনতে হতো না।
দেশে আবার সেই ৭৪’র ভয়ানক ছায়া দেখতে পাচ্ছি মন্তব্য করে সেলিমা রহমান বলেন, ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দুর্ভিক্ষ, খুন-গুম, ধর্ষণ, নৈরাজ্য আর দ্রব্যমূল্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় সেই একই পন্থায় দেশ পরিচালনা করছে। সে সময় আওয়ামী লীগ সরকার বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, কারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ ছিল। বর্তমানে স্বৈরশাসককে পতন করতে হলে জনগণকে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের জনগণ কখনো এই দেশে বাকশাল কায়েম করতে দেবে না।
কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গোটা দেশের মানুষ এখন দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। কোথাও মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকারটুকুও অবশিষ্ট নেই। এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশে নৈরাজ্য বাড়ে, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, গুম-খুন আর ধর্ষণের মহোৎসব চলে দেশে। পেঁয়াজসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। যে দাম বেড়েছে এই দাম কিন্তু কৃষকরা পাচ্ছে না। এ সমস্ত টাকা একটি গোষ্ঠী, একটি সিন্ডিকেট যারা সরকারের সাথে সরাসরি যুক্ত তারা লুটেপুটে নিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
কৃষক দলের আহবায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, তকদির হোসেন জসিম, সাইফুল ইসলাম, একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, শাহজাহান মিয়া স¤্রাট, নাসির হায়দার, মাইনুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।