পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তৃতীয় উৎস থেকে কনজুমারদের তথ্য সংগ্রহ করে অনুমতি ছাড়াই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ উঠেছে ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিস ডি-মানির বিরুদ্ধে। বেশ কিছু মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রাহকদের ‘ব্যক্তিগত তথ্য অপব্যবহার’-এর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিস-এর মাধ্যমে যে ব্যাংকিং কার্যক্রম হয়, তা খুবই স্পর্শকাতর এবং গ্রাহক তথ্যের গোপনীয়তা অত্যন্ত জরুরি। কারণ তথ্যের অপব্যবহার আর্থিক খাতে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এবং সাধারণ মানুষ ডিজিটাল সেবা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। এতে সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং ভোক্তা অধিকার ক্ষুণœ করে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মোবাইলভিত্তিক ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিস ডি-মানি সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি ফেস্টিভালে অংশগ্রহণকারীদের তথ্য নিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে বার্তা প্রদান করে আসত। মোবাইল বার্তায় ডি-মানির অ্যাকাউন্ট খোলার কথা ছাড়াও পিন নম্বর প্রদান করে তা অনুমতি ছাড়া নিজের নামে অ্যাকাউন্ট খোলায় শত শত লোক বিস্মিত এবং ক্ষুব্ধ। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তোলার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ফেস্টিভালে অংশ নেয়া অনেকেই ডি-মানির বিরুদ্ধে ‘তথ্য অপব্যবহার’ ও ‘অ্যাকাউন্ট খোলার নীতি’ ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন। ডি-মানির ইভেন্ট আয়োজকদের কাছ থেকে গ্রাহক তথ্য জোগাড় করে গ্রাহকদের অনুমতি ছাড়া অ্যাকাউন্ট খোলা গুরুতর অপরাধ। এ ধরনের ঘটনার জন্য বিশ্বের নামিদামি অনেক প্রতিষ্ঠানকে বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থদ- দেয়া হয়েছে এবং ফেসবুক ও টুইটারের মতো স্যোশাল মিডিয়া এখন বিচারের সম্মুখীন। কারণ ‘গ্রাহকদের তথ্য’ অন্য কারো কাজে ব্যবহার করা ভোক্তা অধিকারের লঙ্ঘন। গ্রাহকদের অনুমতি ছাড়া অ্যাকাউন্ট খোলা আর্থিক খাতে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্ম দিতে পারে।
এ ব্যাপরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন ফর কনজুমার অ্যান্ড ইনভেস্টর’স (বিজেএফসিআই) ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা এবং ডিজিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখার জন্য ডি-মানির সাম্প্রতিক কার্যক্রমের ওপর তদন্ত করার দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।