পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তাহরিকে খাতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর আমির আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীর সাহেব জৈনপুরী বলেছেন, কুখ্যাত কাদিয়ানীরা মার্কিন ইসরাইল ও ব্রিটেনের মদদে খতমে নবুওয়্যাতের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। খতমে নবুওয়্যাত অস্বীকারকারী কোন অবস্থাতেই মুসলমান হতে পারে না। অবিলম্বে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তাহরিকে খতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর এক কর্মী সম্মেলন সভাপতিত্বের বক্তব্যে আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীর সাহেব জৈনপুরী এসব কথা বলেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন তাহরিকে খতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মাসুদুর রহমান বিক্রমপুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মুফতী এহসানুল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী, মাওলানা ক্বারী ওবায়েদুল্লাহ আববাসী জৈনপুরী, মাওলানা বারাতুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম বিন আশ্রাফ, মাওলানা সালাউদ্দিন ও মাওলানা আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
আল্লামা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, কাদিয়ানীরা ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। কাদিয়ানীরা কাফের । পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে এমনকি অমুসলিম প্রধান দেশ মরিশাস ও থাইল্যান্ডেও কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের এখনও অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। এদেশের সকল মুসলমান সুদীর্ঘ পাঁচ দশক যাবত কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি করে আসছে। অথচ এ দাবি বাস্তবায়নে বরাবরই এ দেশের সরকারগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন, ইসলাম প্রথা সর্বস্ব কোন ধর্ম নয়, ইসলামের মূল হল ঈমান ও আক্বিদা। খতমে নবুওয়্যাত ঈমানের মূল ভিত্তি। দ্বীন ইসলামের দাওয়াতে আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী ও রাসুলগণকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। কাদিয়ানীরা মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।