Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে ৩০ ডিসেম্বর কালো দিবস পালন করবে বাম জোট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

জনগণের ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ডিসেম্বর কালো দিসব পালন করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নৈশকালীন নির্বাচনের অভিযোগ এনে বর্ষপূর্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বক্তব্য তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। অন্যদের মধ্যে বাম জোটের পক্ষ থেকে খালেকুজ্জামান, মোহাম্মদ শাহ আলম, সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মোশরেফা মিশু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ডিসেম্বর দিবাগত রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। এটি যে জালিযায়িতপূর্ণ ভোট ডাকাতির নির্বাচন ছিল সে ব্যাপারে আজ কোন বির্তক নেই। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দিন ৩০ ডিসেম্বর আরো একটি কালো দিবস হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের ১৪দলীয় জোট ২০০৮ সালে ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্টার অঙ্গীকার করে দিন বদলের কর্মসূচি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে গত ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। জনগণের কাছে প্রদত্ত অঙ্গীকার বরখেলাপ করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থীকে জয়ী দেখিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের দিন প্রশাসন ব্যবহার করে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্সপূর্ণ করতে হয়েছে। বিজয়ী ও প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের ঘোষিত ভোট পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছিল। জনগণের সম্মতি ছাড়াই ভোট ডাকাতির অবৈধ্য জাতীয় সংসদ ও সরকার জনগণের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে আছে। জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়েছে।
আর এজন্য জনগণের ভোটদানের অধিকার ছিনিয়ে নেবার এদিনটিকে বাম গণতান্ত্রিক জোট তাই কালো দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জোট পক্ষ থেকে সারা দেশে উপজেলা পর্যায়ে জোটের শরিক দলসমূহের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা মিছিল করবে। এর পাশাপাশি ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ করবে।

 



 

Show all comments
  • মজলুম জনতা ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:০৪ এএম says : 0
    রাজনিতির মাঠে আপনাদের উপস্থিথি অনেকটা কমে গেছে।পেয়াঁজ তেলেসমতি কান্ড,আপনাদের কোন চোখে পড়ার মত ভূমিকা দেখলামনা। আশা করি আপনারা ভুমিকা রাখবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৩৩ এএম says : 0
    জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থীকে জয়ী দেখিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের দিন প্রশাসন ব্যবহার করে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্সপূর্ণ করতে হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নৈশকালীন নির্বাচনের পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছিল।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ