Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বশেমুরবিপ্রবি’র সহকারী প্রক্টরের পদ স্থগিত

নেপালি শিক্ষার্থীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ূন কবিরের সহকারী প্রক্টরের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ প্রদান করা হয়েছে। ওই আদেশে প্রভাষক মো. হুমায়ূন কবিরকে এ ব্যাপারে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বুধবার সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের নেপালী ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিব্রত বোধ করছে। বর্তমানে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল তদন্ত করছে। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ন্যায় বিচারের স্বার্থে তার সহকারী প্রক্টর পদটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারপ্রাপ্ত ভিসির অনুমোদনক্রমে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ূন কবিরের সহকারী প্রক্টরের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত প্রভাষক মো. হুমায়ূন কবির বলেন, কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের নেপালী শিক্ষার্থী আমার বিরদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অনৈতিক কর্মকা-ের প্রতিবাদে ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করি। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ১২ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। এতে সাবেক ভিসিপন্থী কিছু শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র করে ওই শিক্ষার্থীকে দিয়ে ফেক আইডির মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। প্রাথমিক প্রতিকার হিসেবে আমি তখন গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি দায়ের করি।

ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগের পর ভারপ্রাপ্ত ভিসি হন প্রফেসর ড. শাহজাহান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে ফের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়। ওই শিক্ষার্থীর মিথ্যা অভিযোগের পুরো ঘটনাটি আমার সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমি এ ঘটনায় ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ