পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়া হাউজিং এষ্টেটের কর্মকর্তা / কর্মচারিদের নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা অবহেলা আর খামখেয়ালীপনায় কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বগুড়া হাউজিং এষ্টেটের বাসিন্দারা।
এখানে বসবাসকারিদের ব্যাপক অভিযোগ অনুযোগের ব্যাপারে সব সময়ই নির্বিকার থাকেন হাউজিং এষ্টেট কর্তৃপক্ষ। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বগুড়াসহ সারা দেশে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীণ ৭৮৫৪.৪৮ একর জমির ওপর ৬৫টি হাউজিং এষ্টেট গড়ে উঠেছে। গত ১০ বছরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ২০টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্প ও ১০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিছু প্রকল্প ১৯ জেলা ও ৫ উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সংস্থার অনেক অর্জনই যেন ম্লান হবার পথে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীণ বগুড়া হাউজিং এষ্টেট সম্পর্কিত তথ্যে জানা যায়, বগুড়া উপশহর এলাকায় ৬০.৬৪ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠা বগুড়া হাউজিং এষ্টেটে মোট প্লট রয়েছে ৪০৬টি। এর মধ্যে গ্রাহকের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে ৪০৫টি , অবশিষ্ট ১টি প্লট নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। উপশহরের হাউজিং এষ্টেটের আবাসিক এলাকার অভ্যন্তরীণ ৩৪টি সড়কে দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার পিচ-পাথর উঠে গিয়ে স্বাভাবিক হাঁটা চলা পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। ফলে হাউজিং এষ্টেটের বাসিন্দাদের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, হাউজিং এষ্টেটের পানি সরবরাহের জন্য নিজস্ব পাম্প হাউস থাকলেও দীর্ঘদিন যাবৎ পাম্প হাউসটি বন্ধ থাকায় বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি করেও পানি সরবরাহ বিষয়ে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করাতে ব্যর্থ হয়েছে ভুক্তভোগিরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বর্তমানে হাউজিং সোসাইটির ১৩৫টি ফ্ল্যাটে পানি সরবরাহ করছে বগুড়া পৌরসভা। এর পাশাপাশি হাউজিং এষ্টেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীপনা ও অনীহার কারণে পৌরসভা থেকে বাসা বাড়ির অনুমোদিত প্লান নিয়ে বাসিন্দারা পরবর্তীতে নিজেদের মতো করে পরিমাণের চাইতে বেশি জায়গা নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন বলে একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে নকশা অনুযায়ী যে পরিমাণ জায়গা চতুর্দিকে ছেড়ে বাড়ি নির্মাণের কথা তা’ আদৌ মানা হচ্ছে না। এসব বিষয়ে হাউজিং কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয় না বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, গত ১০ বছরে হাউজিং কর্তৃপক্ষ তার নির্ধারিত সীমানা (৬০.৩৪ একর ভূমি) তে কোন মাপজোক করেনি। দীর্ঘদিন যাবৎ মাপজোক না করায় হাউজিং এষ্টেটের কিছু সম্পত্তি বেহাত হয়েছে বলে খোদ গৃহায়ন কর্তৃপক্ষই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। যদিও হাউজিং কর্তৃপক্ষ ৩৪টি অভ্যন্তরীণ সড়কে নাম্বারিং করা সহ ৪ হাজার ফিট ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুললেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। পচা-নোংরা পানি ড্রেন উপচে রাস্তায় জমা হচ্ছে এবং ড্রেন বন্ধ থাকার কারণে নিষ্কাশন হচ্ছে না।
বর্তমানে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কোন প্রকল্প না থাকায় বিভাগীয় কার্যালয় দিনাজপুর থেকে বগুড়ায় স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। বগুড়া হাউজিং এষ্টেটের বর্তমান অব্যবস্থাপনা বিষয়ে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বগুড়া অফিসের উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে অভ্যন্তরীণ সংস্কার খাতে মোট বাজেট ছিল মাত্র ৬ লাখ টাকা। অপ্রতুল বাজেট থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বগুড়া হাউজিং এষ্টেট সংস্কারে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, বিগত ২০১৪-১৫ সালের দিকে বগুড়ার শেরপুরে স্বল্পমধ্যম আয়ের মানুষের বসবাসযোগ্য ২৩০/২৩৫টি প্লট নিয়ে একটি আবাসিক প্রকল্প গ্রহণ করলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে সেটা বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে বগুড়ায় নতুন করে আর কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, বগুড়া হাউজিং এষ্টেটের সার্বিক তদারকির জন্য মাত্র ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছে। এর মধ্যে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ১ জন, উপ সহকারি প্রকৌশলী ১ জন, অফিস সহায়ক ১ জন এবং গার্ড ২ জন। এর মধ্যে এসডিও জিয়াউর রহমান সিরাজগঞ্জে রয়েছেন। ফলে স্বল্প জনবল দিয়ে সার্বিক বিষয় তদারকি করা কিছুটা হলেও দুরুহ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।