পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর পানিবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে ৩৪টি খাল উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছর প্রকল্প শেষ হলে পানিবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আহমদ মঈন উদ্দিন পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ দ্রæত এগিয়ে চলছে জানিয়ে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি ৪০টি কালভার্ট তৈরীসহ ২০ কি.মি. রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।
‘চট্টগ্রাম শহরের পানিবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট একনেক সভায় উপস্থাপিত হলেও তা কতিপয় শর্ত পূরণ করে ডিপিপি পুনর্গঠন সাপেক্ষে অনুমোদন করা হয়। শর্তসমূহ পূরণ করে ডিপিপি পুনর্গঠন করে উপস্থাপন করা হলে ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রকল্পটি একনেক অনুমোদনের পর একই বছরের ১৯ মার্চ প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সিডিএ’র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
২৯ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ খালসমূহের পরিষ্কার ও পুনঃখনন কাজ শুরু করে। প্রকল্পের আওতায় ভৌত কাজসমূহের জন্য বিস্তারিত সার্ভে ও ড্রয়িং-ডিজাইন প্রণয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক ২০১৮ সালের ২৪ জুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। প্রকল্পের আওতাধীন বেশিরভাগ খাল শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় খালসমূহ যথাযথভাবে চিহ্নিত করে খালের পানি ধারণ ও প্রবাহ ক্ষমতা নির্ধারণ করে ড্রয়িং-ডিজাইন প্রণয়ন জটিল হওয়ায় প্রয়োজনীয় সার্ভে ও সমীক্ষা সম্পন্ন করে চলিত বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে ড্রয়িং-ডিজাইন সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে চলতি বছরের ২ জুলাই হতে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের আওতাধীন ৩৪ খালের সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। খালসমূহের উপর থেকে একতলা পাকা, সেমিপাকা, টিনশেড, কাঁচা, নির্মাণাধীন ভবন, বাউন্ডারি ওয়াল, টয়লেটসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরের পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের জুলাই হতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্প ব্যয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বরাদ্দের মধ্যে ১৭-১৮ অর্থবছরে ১১৫ কোটি টাকা, ১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৫০ কোটি টাকা, ১৯-২০ অর্থবছরে ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চলতি অর্থবছরে ১২৫ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে।
সিডিএ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রণীত কর্মপরিকল্পনায় নির্ধারিত কাজসমূহ ২০২০ সালের এপ্রিলে শেষ হলে আগামী বর্ষা মওসুমে পানিবদ্ধতা সমস্যার ৭৫ শতাংশ কমে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।