পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী প্রবাসী নিখোঁজ সন্তান ফয়সালের সন্ধানে অঝোরে কাঁদছেন মা মরিয়ম বেগম। নরসিংদী সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুর রহিম গাজীর সন্তান হারানোর দুশ্চিন্তায় মায়ের কান্নায় প্রতিবেশীরাও কাঁদছেন। গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে মদিনার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে প্রবাসী কর্মী ফয়সাল নিখোঁজ হয়। ফয়সালের কোনো সন্ধান না মেলায় তার পরিবার চরম হতাশায় ভুগছে।
নিখোঁজ সন্তানের জন্য মা মরিয়ম বেগম গত ১১ নভেম্বর পাগলের ন্যায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে লিখিত আবেদন পেশ করেন। বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন ও উন্নয়ন) উপসচিব মো. জহিরুল ইসলাম গত ১২ নভেম্বর জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর (শ্রম) আমিনুল ইসলামকে লিখিতভাবে নিখোঁজ ফয়সালের সন্ধানের জন্য দ্রæত কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন। কিন্তু অদ্যাবধি কাউন্সেলর (শ্রম) নিখোঁজ ফয়সালের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেননি। এতে নিখোঁজ ফয়সালের পরিবার চরম উৎকণ্ঠায় ভুগছে। গতকাল সোমবার কুয়েতে কর্মরত নিখোঁজ ফয়সালের বড় ভাই কাওসার গাজী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিখোঁজ ফয়সালের বন্ধু দেলোয়ার হোসেন মদিনা থেকে গত ২৮ অক্টোবর ফয়সালের মা মরিয়ম বেগমকে ফোন করে বলেন, দোয়া করেন, আমরা ফয়সালকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তার রুমমেট কিশোরগঞ্জের গিয়াস উদ্দিন ঐ দিন রাতে বাসায় গিয়ে ফয়সালের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিখোঁজ ফয়সালের ভগ্নিপতি নাজিম উদ্দিন ও তার চাচা গত ৪ মার্চ ওমরাহ পালন করতে মদিনায় গেলে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এতে নিখোঁজ ফয়সাল দুর্ঘটনায় নিহত ভগ্নিপতি ও তার চাচার মামলার বাদী হয়েছিল। মামলার শুনানিতেও সে কয়েকবার আদালতে হাজির হয়েছিল। দুর্ঘটনায় নিহতদ্বয়ের পরিবার উক্ত মামলায় ফয়সালের মাধ্যমেই ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, সউদী আরবের বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন প্রবাসী কর্মীর লাশ হাসপাতাল মর্গে পড়ে রয়েছে। জেদ্দায় কনস্যুলেটের কাউন্সেলর (শ্রম) আমিনুল ইসলামের চরম উদাসীনতার দরুন মৃত প্রবাসী কর্মীদের লাশ দেশে আনতে অহেতুক বিলম্ব হচ্ছে। গত ৩ অক্টোবর মদিনায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার পান্নাথপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ মারা যান। মৃত আব্দুর রশিদের বৃদ্ধ মা সামেনা বেওয়া সন্তানের লাশ একনজর দেখার জন্য রাতদিন কান্নাকাটি করেন। মা সামেনার প্রবাসী সন্তানের লাশ দেখার ভাগ্যে জোটেনি। গত ১ নভেম্বর মৃত আব্দুর রশিদের মা সামেনা বেওয়া ইন্তেকাল করেন। গতকাল মৃত আব্দুর রশিদের ভাই সাইফুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জেদ্দায় কনস্যুলেটে কাউন্সেলর (শ্রম)-এর সাথে বারবার যোগাযোগ করেও লাশ কবে নাগাদ দেশে আসবে তার কোনো সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, কনস্যুলেটের এসব কর্মকর্তা প্রতি সপ্তাহে সউদীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের কোনো কাজ না থাকার পরও কনস্যুলার ট্যুরে গিয়ে লাখ লাখ টাকার বিল হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ প্রবাসী মৃত কর্মীদের লাশ দেশে পাঠাতে তাদের কোনো জোরালো তৎপরতা চোখে পড়ে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।