Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্ন : আমি ছোটোখাটো ব্যবসা করছি। কোনোরকম দিন চলছে। কিন্তু খুব কষ্টে। বাড়িভাড়াসহ যাবতীয় খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। নিজস্ব জায়গাজমি নেই। আমি চেয়েছিলাম ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিছু জমি কিনি। যাতে বাড়িভাড়া থেকে অন্তত বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে ব্যবসার কথা বলে নিতে হয়। এ নিয়ে আমি ব্যাংকের সাথে লেনদেনও করেছি। যখন লোন প্রসেসিং করতে যাবো তখন আমাদের এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে লোনের ব্যাপারে জানতে চেয়েছি। তিনি সরাসরি বলেছেন, লোন হারাম। এটা সুদ। আসল কথা হচ্ছে- ব্যাংক লোন কি সত্যিই হারাম ? যদি তাই হয় তাহলে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো যে লোন নিয়ে বিজনেস করছে সেগুলো কী ? ব্যাংক লোন ছাড়াও এনজিও বা সমিতি থেকে কিস্তি বা লোন নেয়া কী জায়েজ হবে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য ? যদি হারাম বা সুদ হয়ে থাকে, তাহলে আমার করণীয় কী?

ইমরান
সিলেট

প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৩১ পিএম

উত্তর : হালাল পদ্ধতিতে লোন নেওয়া সম্ভব হলে নিতে পারেন। তবে, আমাদের দেশে প্রচলিত লোনের পদ্ধতি ব্যাংক বা সমিতিতে যা চালু আছে, এর প্রায় সবই হারাম। কারণ, এসবে সুদ থাকে। সুদবিহীন লোন কিংবা বিনিয়োগ খুঁজে বের করুন। নির্দিষ্ট বিষয়টি বিজ্ঞ মুফতি ও আলেমের কাছে যাচাই করে নিন। আমাদের দেশে প্রায় সব বড় প্রতিষ্ঠানই সুদী লেন-দেন করে। তারা করে বলেই সুদ হালাল হয়ে যাবে না। যারা করে না, তাদের অনুসরণ করুন।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • Md Humayun kabir ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:১৫ এএম says : 1
    Brother Imran, can you please give your contact number. I want to talk to you
    Total Reply(0) Reply
  • নিসারুল ইসলাম ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:২৯ পিএম says : 0
    বাংলাদেশে অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান সুদবিহীনভাবে ব্যবসায়িক ঋণ দেয় বলে আমার জানা নেই । শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলো বিকল্পপথে সুদকে লাভ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সেটি আমার কাছে সুদই মনে হয়েছে । যদিও তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সমর্থন করি । কারণ, সারা পৃথিবীর সুদি ব্যবস্থার ভিতরে থেকে সম্পূর্ণ সুদবিহীন ব্যাংকব্যবস্থা এখনই হয়তো বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় । তাঁরা চেষ্টা করতে থাকলে একসময় সফলকাম হবেন ইনশা-আল্লাহ্ । এই আশায়ই তাঁদেরকে আমি সমর্থন করি । বর্তমান পৃথিবীতে দরিদ্র মানুষকে শোষণের প্রধান হাতিয়ারই হলো এই সুদ । ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সারা পৃথিবীর মানুষ আজ সুদের কাছে জিম্মি । বিভিন্ন এনজিওগুলো ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে মূলতঃ দরিদ্র মানুষকে সীমাহীনভাবে শোষণ করছে । কিছুদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য উল্লেখ করার মতো । তিনি বলেছেন, "ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র বিমোচন করেনা, লালন-পালন করে" ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ