পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরবে নারী গৃহকর্মীদের দুঃসহ জীবন ও লাশ হয়ে দেশে ফেরার ঘটনা দেশবাসীকে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রগতিশীল নারী সংগঠনগুলোর নেত্রীরা। গতকাল রোববার সউদী আরবে নারী শ্রমিক নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা বন্ধ ও প্রবাসী নারীশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা জানায়।
সিপিবি নারী সেল, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, নারী সংহতি, বিপ্লবী নারী ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে আট মাসে ৮৫০ জন নারী সউদী আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রায় প্রত্যেকেই শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার। দেশে ফেরা নারী শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সউদী আরবে ৩০ থেকে ৪০ সদস্যের এক একটি পরিবার। ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করতে হয়, গভীর রাতেও কাজ শেষ হয় না। ঘরে পর্যাপ্ত খাবার থাকার পরও গৃহশ্রমিকদের খেতে দেয়া হয় না। কথায় কথায় মারধর করে। অনেক সময় বেঁধে রেখে মারধর করে। যে বাসায় সে কাজ করে ওই বাসার সব পুরুষই যৌন নিপীড়ন করে থাকে। এমনকি ৯-১১ বছরের ছেলেও যৌন নিপীড়ন করে। সউদী আরবে গৃহশ্রমিককে দাসী মনে করে। গৃহশ্রমিককে অত্যাচার করা যায়, ধর্ষণ করা যায়, এমনকি হত্যাও করা যায়।
বক্তারা আরও বলেন, নির্যাতনের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন সউদী আরবে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিলে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে সউদী আরব। এরপর থেকে গত জুলাই মাস পর্যন্ত ৩ লাখ নারী কর্মী গেছেন সউদী আরবে। দুই বছরের চুক্তিতে যাওয়া নারী শ্রমিকরা মাসে বেতন পান বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১৭ হাজার টাকা। চুক্তি অনুযায়ী গৃহকর্মীদের বিনা খরচে সউদী আরব যাওয়ার কথা; কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নেয়া হচ্ছে।
সিপিবি নারী সেলের কেন্দ্রের আহ্বায়ক লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, নারী সংহতির কেন্দ্রের সুলেখা রহমান, বিপ্লবী নারী ফোরামের আহ্বায়ক আমেনা আক্তার, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী নীতি চাকমা। সমাবেশ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপিও দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।