পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপদ পানি সরবরাহ ও মৌলিক স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে দেশে পর্যাপ্ত আইন ও নীতিমালা রয়েছে। তবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা সর্বোপরি সুশাসনের অভাব এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘ওয়াশ গভর্নেন্স এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। গতকাল রোববার দুপুরে ভোরের কাগজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্কের (ডাব্লিউআইএন) সহায়তায় এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ ও ভোরের কাগজ যৌথভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করে। ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড. আনোয়ার জাহিদ, ভিইআরসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসেন, এসআইএমএভিআই-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক মজমুদার, ইউএসটির নির্বাহী পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আনোয়ার কামাল, ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুর-এর পরিচালক মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান, ব্র্যাকের মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের পরিচালক (পলিসি এডভোকেসি) ড. আব্দুল্লাহ আল মুয়িদ, টিআইবির এম. জাকির হোসেন খান, ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্কের কনসালট্যান্ট সিফাত-ই-রাব্বি প্রমুখ।
মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আগে পানির প্রাপ্যতাকে গুরুত্ব দেয়া হতো। এখন আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি নিরাপদ পানি প্রাপ্যতাকে। অর্থ বরাদ্দের চেয়ে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপচয়। অপচয় রোধ এবং এক্ষেত্রে জনগণকে আরো বেশি সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়নে ২০৩০-এর ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হলো ‘অভীষ্ট-৬’ যার উদ্দেশ্য হলোÑ সবার জন্য নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। বিশ্বজুড়ে পানি এবং স্যানিটেশন নিয়ে চলমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন এটি। এ লক্ষ্য অর্জনে শক্তিশালী ওয়াটার গভর্নেন্স একান্ত অপরিহার্য বলে বিবেচিত। তবুও অনেক দেশেই ওয়াশ গভর্নেন্স কাঠামো সবল এবং সমন্বিত নয়। শক্তিশালী ওয়াশ গভর্নেন্স রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং প্রশাসনিক নীতিমালা, চর্চা এবং পদ্ধতি নির্ধারণ করে যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।
বক্তারা আরও বলেন, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও মৌলিক স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অর্জন আন্তর্জাতিক পরিম-লে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে। তবে টেকসই উন্নয়ন ‘অভীষ্ট ছয়’ অর্জনে ক্রমবর্ধনশীল বৈষম্য, প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস, পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।