পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবকে জিজ্ঞেস করব, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা কি বিদেশের কোনো চুক্তি সংসদে উত্থাপন করেছেন? গতকাল রোববার রাজধানীর এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ সফর করে যেসব চুক্তি করেছেন, সেসব বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিএনপির চিঠি দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদে অনুমোদন নিয়েছে? পার্লামেন্টে কি বিএনপি আমলে কোনো চুক্তির অনুমোদন নিয়েছে? তিনি বলেন, জোরগলায় বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোনো চুক্তি করবেন না। চুক্তি যেটা হয়েছে, এটা পরিষ্কার দিবালোকের মতো। চুক্তির মধ্যে গোপনীয়তা বলতে কিছু নেই। চুক্তি কি গোপন করে রাখা যায়?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (বিএনপি) তো অভিযোগই হচ্ছে আওয়ামী লীগ মানে দেশ বিক্রি, গোলামির চুক্তি, বাংলাদেশ ভারতের হয়ে যাবেÑ এগুলো তারা বলেই আসছে।
মন্ত্রী বলেন, এটা নতুন কিছু নয়। বিএনপি আর জামায়াতে ইসলামী ওপরে যাই বলুক, তলে তলে এদের গলায় গলায় খাতির। এরা একই বৃত্তে দু’টি খোল। একটিকে ছাড়া আরেকটি চলবে না। তারা যমজ ভাইয়ের মতোই আছে, কাজেই তাদের বিচ্ছিন্ন ভাবার কোনো কারণ নেই। দু’টি দলই সা¤প্রদায়িক দল, তাদের মিল সবাই জানে, এটা পরিষ্কার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনে কোথাও কোনো অসঙ্গতি যদি থাকে, সমাজের কোথাও কোনো সমস্যা হলে, আইন তো আর কোরআন-হাদিস বা বাইবেল নয়। এটা প্রয়োজনে সংশোধন করা যাবে। এখানে আইনটা বাস্তবায়ন করা যাবে নাÑ এমন দাবি যারা করেন তারা দেশের জনগণের যে মানসিকতা, দেশের মানুষের যে চাওয়া সেটার সঙ্গে বিরুদ্ধ, বৈরী আচরণ করছেন।
সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা রাস্তায় অপকর্ম করবে না, তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। অপরাধ নিরুৎসাহিত করতেই আইনে জরিমানা বেশি। প্রথম বারেই জরিমানা বেশি হয়ে যাবে, তা না। তবে অপরাধ করলে লঘু করা হবে না।
আইনটি বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জিং। আমরা জনগণের চাহিদা থেকে দূরে সরে যেতে পারি না। আইনের যেন যথাযথ প্রয়োগ হয়, সেটা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পেঁয়াজ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজ নিয়ে সঙ্কট চলছে। বাইরে থেকে আমদানি করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহন সেক্টর খুব চ্যালেঞ্জিং। আমরা সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ডায়নামিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। এখন আমাদের দেশের সেই পদ্মা সেতু এখন দাঁড়িয়ে গেছে। দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি হচ্ছে ৭৪ ভাগ। ২০২১ সালে পদ্মা সেতু ডাবল ডেকার সেতুর (দুয়েল) লাইন চালু করা হবে।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের কমতি নেই। কিন্তু আমাদের সঙ্কট হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা। এই শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে যাচ্ছি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে স্থানীয় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। তখন তারা সড়কে রোড স্পিডবেকারের দাবি জানায়। নসিমন-করিমন ২২টি রুটে এগুলো নিষিদ্ধ করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।