পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে এ রিট করা হয়। রিটে স্বাধীন কমিটি গঠন করে ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণের সংশ্লিষ্ট ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট ফাইল করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্টকে বিবাদী করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে রিট করার পর রিটের বিষয়ে আদালতে শুনানি করতে যান। এ সময় আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করব না। আপনি এক সপ্তাহ পরে আসতে পারেন। এর মধ্যে দাম না কমলে আমরা বিষয়টি দেখব।
আমিনউদ্দিন বলেন, এ পর্যায়ে আমরা আদালতকে বলি, পেঁয়াজের দাম কমানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বিষয়টি দেখছেন। এরই মধ্যে রিটকারী আইনজীবীর বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায় যে, ‘পেঁয়াজের দাম নিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট। এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেন।’
গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট আদালত বিষয়টি অবগত হন। তখন রিটকারী আইনজীবীকে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ ডেকে পাঠান। আদালত রীটকারীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি পেঁয়াজের দাম নিয়ে মিডিয়াতে কথা বলছেন কেন? আমরা তো এখনও রিটের কপিই পাইনি। আপনি মিডিয়াতে কী বলেছেন, আমরা তো কোনো আদেশও দেইনি।’
হাইকোর্ট আরো বলেন, ‘কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে নির্দেশনা রয়েছে কোনো বিষয়ে আদেশ না দিলে তা মিডিয়াতে প্রকাশ করা যাবে না।’ তখন রিটকারী আইনজীবী নিজের ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। হাইকোর্ট আইনজীবীকে সতর্ক করে বলেন, কোনো আদেশ না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়াতে কোনো ইন্টারভিউ দেবেন না।
এ বিষয়ে সরকারপক্ষীয় আইনজীবী আরো বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে করা রিটের বিষয়ে শুনানি করতে যাওয়ার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে রিটের একটি কপি জমা দেন। কিন্তু সেই রিটের কপি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট কোর্টে পৌঁছেনি। রিটকারী আইনজীবী একটি ¯িøপ জমা দিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। এরপর আমরা রিটের কপি হাতে পেয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।