পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা তাদের রাজনীতিকে বেগম জিয়ার অসুস্থতা থেকে বের করে এনে পেঁয়াজের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। তবে পেঁয়াজের এই উচ্চমূল্য থাকবে না, কারণ বিদেশ থেকে বিমানে করে পেঁয়াজ আসছে। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসা শুরু করেছে। সুতরাং খুব সহসা এই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী ঐক্যজোট আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমি বিএনপিকে বলব, আপনারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে অপরাজনীতি সব সময় করে আসছেন, সেখান থেকে যে পেঁয়াজের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন, এটি ভালো। আমি অনুরোধ জানাব, আপনারা অবশ্যই সরকারের সমালোচনা করুন। সরকার কোথায় ব্যর্থ হচ্ছে, সেটি তুলে ধরুন। কিন্তু সরকার যে আজকে নানা ক্ষেত্রে প্রচন্ডভাবে সফল, এটি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বলছে, বিশ্বব্যাংক বলছে, অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা বলছে, সেটিই আপনারা দয়া করে বলবেন, তাহলেই সেটি দায়িত্বশীল বিরোধী দলের কাজ হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকাল বলেছেন, তারা আগামীকাল সারাদেশে পেঁয়াজ নিয়ে বিক্ষোভ করবেন। ফখরুল সাহেবকে ধন্যবাদ যে, তারা তাদের রাজনীতিকে বেগম জিয়ার অসুস্থতা থেকে বের করে এনে পেঁয়াজের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। তবে পেঁয়াজের এই উচ্চমূল্য থাকবে না। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন বিদেশ থেকে বিমানে করে পেঁয়াজ আসছে, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসা শুরু করেছে। প্রচার সম্পাদক বলেন, কারা এই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির সাথে যুক্ত, সেটা বের করার জন্য গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছে। যারা এই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়েছে, যারা দায়ী হবে, দায়ী হিসেবে যাদেরকে চিহ্নিত করা হবে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষকে জিম্মি করে এভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই ব্যবসার নীতি হতে পারে না। সরকার টিসিবির মাধ্যমে ঢাকা শহরে এবং বিভিন্ন জায়গায় ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। খুব সহসাই ইনশাল্লাহ দাম কমে যাবে, স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মাওলানা ভাসানী কখনো ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি। তিনি রাজনীতিকে একটি ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি যদি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করতেন, তাহলে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হতে পারতেন। তার হাত ধরেই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ গঠিত হয়েছে। পরের বছর ১৯৫০ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে সভাপতি করে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ গঠিত হয়। অর্থাৎ এই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বেই।
মন্ত্রী বলেন, মওলানা ভাসানী বলতেন, শেখ মুজিবের যে সাংগঠনিক দক্ষতা, সেটি আর কারো মধ্যে নেই। এবং বঙ্গবন্ধু মুজিব যতদিন বেঁচে ছিলেন, মওলানা ভাসানীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন এবং তার দেখভালও করতেন। মওলানা ভাসানী যেভাবে রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন, আমি মনে করি যুগ যুগ ধরে তার কাছ থেকে রাজনীতি শেখার অনেক কিছুই আছে।
ড. হাছান বলেন, বিএনপির অনেক বড় বড় নেতা যারা কয়েক দফা মন্ত্রী ছিলেন, আজকে স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, তাদেরকে অনেকেই মওলানা ভাসানীর দল করতেন। অর্থাৎ, তারা ক্ষমতার জন্য জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। অনেকে জাতীয় পার্টিতেও যোগ দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা ক্ষমতার জন্য দল ত্যাগ করেছেন। আর যারা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে, তারা যখন ক্ষমতা থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকে তখন তাদের প্রচÐ কষ্ট হয়। কারণ, তারা ক্ষমতার জন্যই তো রাজনীতি করেন। সেই কারণে আজকে যে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে, সেটি বিএনপি’র জন্য গাত্রদাহ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি বলতে চাই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবও অন্যদল করতেন। রিজভী সাহেবও ছাত্রজীবনে অন্য দল করতেন। মওদুদ আহমদ সব দলই করেছেন। বিএনপিতে বড় বড় নেতা বেশির ভাগই হচ্ছেন দলছুট নেতা। সেই দলছুট নেতাদের আমরা দেখতে পাচ্ছি, কয়েক দিন ধরে নানা ইস্যুতে কথা বলছে।
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।