পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কলাপাড়ায় ছাগল চুরির মিথ্যা অপবাদে মা-ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন করা হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্যরাতে দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে নির্মম এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে মা শাহীনুর বেগম (৪৫) ও ছেলে ইউসুফ (১৯) কলাপাড়া হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। এঘটনায় কলাপাড়া থানা একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ইউসুফ জানায়, সে পেশায় একজন মটোরসাইকেল চালক। ঘটনার দিন রাতে মহিপুর বাজার থেকে যাত্রি নিয়ে পাখিমারা বাজারে নামিয়ে হোন্ডা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়। কিছুক্ষন পরে বাড়ির ভিতর থেকে কেউ একজন এসে তাকে ছাগল চোর বলে ধাওয়া দেয়। প্রান ভয়ে দৌড় দিলে তাকে ধরে দুহাত পিচমোড়ে বেধে রাতভর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে ইউসুফের মা ঘটনাস্থলে পৌছলে তার সামইে তার মাকে নির্যাতন চালায় একই এলাকার জসীম, বনি-ইয়ামিন, শাহীন, সাকিবসহ আরো ৭/৮ জন। তার মাকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে লোহার শিকল দিয়ে বেধরক পিটিয়ে ডান হাত ও দুটি আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলা হয়।
ইউসুফের মা শাহীনুর বেগম জানান, ছেলেকে বাচাতে গিয়েচিছলাম। ওরা আমার উপড় অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছ। বর্তমানে ভাঙ্গা হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের যন্ত্রনা নিয়ে হাস পাতালের শয্যায় এপাশ-ওপাশ ঘুরে শুতে পারছেননা তিনি। আদমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুলতান আহমেদ জানান, তার সামনেই কয়েক দফায় চলে এমন নিষ্ঠুরতা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি বাধা দেয়ার সাহস পাননি।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান এ্যাড: নাসীর মাহমুদ জানান, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি প্রকৃত পক্ষে ওই ছেলে চুরি করেনি। ঘটনাস্থল থেকে ইউসুফ অনেক দুরে ছিল।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ দেয়া হয়েছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী জানান, সাঙবাদিকদের মাধ্যমে ঘটনা শুনতে পেয়েছি। খোজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।