Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাবরি মসজিদ রায় মুসলিম উম্মাহ প্রত্যাখ্যান করেছে

বিক্ষোভ সমাবেশে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

দীর্ঘ ৫০০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের রায় দিয়ে ভারতীয় আদালত মুদি সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। মুসলিম উম্মাহ বাবরি মসজিদ রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের অনেক হিন্দুগুরুরাও আদালতের আজ্ঞাবহ রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
গতকাল শনিবার বাদ যোহর নগরীর খিলগাঁও চৌরাস্তাস্থ আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদরাসার সামনে বাবরি মসজিদ রায়ের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো.নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম সুবহানী, মাওলানা আহমদ আলী কাশেমী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা শিব্বির আহমদ, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা আশেক উল্লাহ, মাওলানা মাসউদ, মাওলানা আল আমিন, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ফারুকী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা নূরুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় উগ্রবাদীরা ১৯৯২ সনে এই ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদকে শহীদ করেছে। বাবরি মসজিদের স্থানে কোনো দিন মন্দির বানানোর সুযোগ দেয়া হবে না। তিনি বিশ্ব মসলিমকে বাবরি মসজিদ পুন:নির্মাণের জন্য ভারত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জোর দাবি জানান।
মাওলানা নূরুল ইসলাম বলেন, বাবরি মসজিদ নিয়ে আদালতের রায় মুসলিম উম্মাহ ঘৃণাভর প্রত্যাখ্যান করেছে। যতদিন পর্যন্ত বাবরি মসজিদ পুন:নির্মাণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে । প্রয়োজনে শিগগিরই এ ব্যাপারে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পরে বাবরি মসজিদ রায় বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।



 

Show all comments
  • Abu Said ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    বাবরি মসজিদের জায়গায় যে কোনো মন্দির চিলো না এটা বিচারকরা বলেছেন তার পর ও কেনো একানে মন্দির বানানোর আদেশ দিলেন এটা সবার প্রশ্ন বিচারক আরো বলেছেন বাবরি মসজিদ বাংগা অন্যয় হয়েছে তার পর ও কেনো মসজিদের জায়গায় মন্দির হবে এ আদেশ এলো এটার একটায় কারন মুদি সরকারের আদেশে এ রায় দেয়া হয়েছে তাই আমি মনে করি এ রায় মুসলিমদের প্রতি অন্যয় জুলুম ও ভারত সরকারের ক্ষমতার শক্তি দেখানো হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Monir Hossen Momi ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
    এটা মেনে নেয়ার মত নয়। একটি প্রার্থণালয় যুগ যুগ ধরে আছে এটাকে ভেঙ্গে আরেকটি অন্য ধর্মের হবে এটাতো রীতিমত অন্যায়।সমস্যা এ-র পাশে যদি আরেকটি মন্দির করে।সে জন্য একটা ধর্মীও মানুষের মনে আঘাত দিবে। এরা মানুষ নেয় ইসলামের দৃষ্টিতে বা মানবতার দিক দিয়ে এরা পশু।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nikson Khan ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
    অবশ্যই এটা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।তবে যেহেতু বিষয়টা বিতর্কিত তাই এখানে হাসপাতাল,বা সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান করা যেত।আর ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বললে মসজিদ নির্মাণের দাবিই বেশি জোরদার।।।এখানে মসজিদ ছিল,এটা দিবালোকের মতো সত্য কিন্তু রামের জন্মস্থান এটা সমুদ্রের তলদেশে ব্যাঙাচি থাকার মতো ব্যাপার।
    Total Reply(0) Reply
  • Samimul Islam ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
    আচ্ছা বলুন তো আজ পর্যন্ত দুনিয়ার কোন জায়গায় মুসলিমরা সুবিচার পেয়েছে/পাচ্ছে। কথায় আছে কাউকে ঠকাতে ঠকাতে যখন সীমা ছাড়িয়ে যাবেন তখন সেও কিন্তু প্রতিবাদী না হয়ে পারবে না!!
    Total Reply(0) Reply
  • Rahmat Ullah ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
    উগ্রতার পরিণতিটা কখনও শুভ হয় না। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পাগলামি বন্ধ করতে আসলেই কঠিন বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। তাদের বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকা দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Al mamun ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:৪২ পিএম says : 0
    এটা অন্যায় করা হয়েছে, মুসলিমদের পবিত্রস্হান মসজিদ সরকার ইতিহাস ঐতিয্য ভুলে মনগড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আমি এর বিরোধিতা ও দ্ধীমত পোষন করলাম। সরকার পারতো বাবরি মসজীদকে একটি ঐতিহাসিক মুসলিম পর্যটক করে দিতে যা সরকার বেনিফিটেট হতো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ