পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের দুই নেতা। এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতার ও বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। বেলা দেড়টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে সড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজট হয়। ফলে বিকল্প সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই, শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না, ইত্যাদি শ্লোগান দেয় তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন, ‘অনতিবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতসহ ছাত্রত্ব বাতিল করা, হলের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রভোস্টের পদত্যাগ ও চিকিৎসার সকল খরচ প্রশাসনকে বহন করার দাবি জানান তারা। এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা বা আশ্বাস না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যখন দুর্নীতিতে জর্জরিত। যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চলে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের অমানুষিক নির্যাতন। সোহরাব কি করেছিলো? ওর মত সাধারণ ছেলেদের ওপর ক্যাম্পাসের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। ছাত্রলীগের লাগামহীনতার বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বারবার তারা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। আমরা আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে এসেছি, সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে আসিনি।
এ সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ, আসিফসহ যারা হত্যাচেষ্টায় জড়িত তাদের গ্রেফতার, সর্বোচ্চ শাস্তি এবং স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, হলে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হল প্রভোস্টের পদত্যাগ এবং আহত শিক্ষার্থীর সকল চিকিৎসার খরচ ও মামলার সকল দায়িত্ব প্রশাসনকে বহন করার দাবি জানান তারা। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় বøকের ২৫৪ নম্বর কক্ষে সোহরাবকে নিয়ে যান। সেখানে নানা রকম কথা জিজ্ঞাসা করে হল ছাত্রলীগ নেতা আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এক পর্যায়ে তারা দু’জন মিলে রড দিয়ে সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকে। এতে রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। পরে তার বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পরে রামেকে ভর্তি করে। সেখানে তার মাথায় ১৫টি সেলাই দেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ইসলামী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহরাবের এক সহপাঠী জানান, গত কয়েকদিন থেকেই আসিক লাক সোহরাবকে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। দু’দিন আগেও আসিফ লাক তাকে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পর মেরেছিল।
এদিকে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত কোন খোঁজ পাননি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জুলকারনাইন। তিনি জানান, অনেক রাতে ঘটনা হওয়ায় জানতেন না তিনি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি বলে জানান তিনি। বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, আমার এক আত্মীয় ঢাকার এক হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছে। আমি সেখানে আছি বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।