Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মজুদের পেঁয়াজ ভাগাড়ে

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ফেলে দেয়া হলো ২০ টন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

খাতুনগঞ্জের কয়েকটি আড়তে পচে যাওয়া মিয়ানমারের পেঁয়াজ ফেলে দেয়া হয়েছে নদীতে-ভাগাড়ে। খাতুনগঞ্জে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড় থেকে প্রায় ২০ টন পচা পেঁয়াজ সরিয়েছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
গতকাল শনিবার খাতুনগঞ্জে কয়েকটি আড়তে দেখা যায়, বস্তাভর্তি পেঁয়াজ পচে মাটিতে পড়ে আছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। শ্রমিকরা এসব পেঁয়াজ ভাগাড়ে নিয়ে ফেলছেন। জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় গরমে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। যেগুলো ভালো থাকছে সেগুলোরও মান কমে যাচ্ছে। এতে আমদানিকারকরা লোকসানে পড়ছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, খাতুনগঞ্জে ১৫ থেকে ২০টি পেঁয়াজের আড়ত আছে। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এখানে আসতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যায়। এরপর আড়তে রাখা পেঁয়াজ দ্রæত পচে যাচ্ছে। প্রতিটি আড়তে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ বস্তা করে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কর্ণফুলী ব্রিজ ঘাট এলাকার স্থানীয়রা জানান, খাতুনগঞ্জ থেকে বস্তাভর্তি পচা পেঁয়াজ কম দামে কিনে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নদীর পাড়ে শুকাতে দেন। এরপর অধিকাংশ নষ্ট পেঁয়াজ সেখানে ফেলে দেয়া হয়। তুলনামূলক ভালো পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকায় স্থানীয় হোটেল-রেস্টুরেন্টে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর ৬৬ হাজার ১৬২ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (এলসি) খোলা হলেও এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসেছে ছয় হাজার টনের মতো।
চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাতে খাতুনগঞ্জের ময়লার ভাগাড়ে বস্তায় বস্তায় পচা পেঁয়াজ ফেলে যাচ্ছে খাতুনগঞ্জের শ্রমিকরা। কর্ণফুলী নদীর পাড়েও পচা পেঁয়াজ ফেলে দেয়া হয়েছে। পাঁচ টন ধারণক্ষমতার চারটি গাড়ি দিয়ে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে।

এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন মিয়ানমারের ১২-১৫ জন ব্যবসায়ী। আমদানিকারকদের সঙ্গে কারসাজি করে খাতুনগঞ্জে যেসব কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে তারা তা বেশি দামে বিক্রি করতে কমিশন এজেন্টদের বাধ্য করছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আঘাত হানার পর থেকে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২০০-২৫০ টাকা। অস্বাভাবিকভাবে দাম বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আড়তে বিপুল পেঁয়াজ সংগ্রহে রেখে বেশি দামে বিক্রির আশায় হয়েছে গুঁড়েবালি



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:২৪ এএম says : 0
    বারমার খোনী হইতে পেঁয়াজ আমদানি করে যাহারা কত বড় অমানুষ তাহারা। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ হুমায়ুন কবীর ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৫৪ এএম says : 0
    এই সকল অমানুষ মুনাফাখোর মজুদদারের কঠোর শাস্তিসহ গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া দরকার ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ