পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাকে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুণে বাংলাদেশ আজ প্রশংসনীয় এ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে সংস্থাটির সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টারসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা। আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রতিযোগিতা বিষয়ক বৈশ্বিক পরিচালক ক্যারোলাইন ফ্রেউন্ড, কৌশল ও অপারেশন, দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক সামিয়া মসাদেক, পরিচালক জুবিদা আলাওয়া, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক পরিচালক সিমিন্যন জাঙ্কভ, বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফ্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বর্তমানে বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল আলম। এসব বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বিশ্বব্যাংক গ্রæপের সম্ভাব্য সহযোগিতা ও সমর্থনের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ও বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তারা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করতে একমত হন। এর মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ সম্পর্কিত সংস্কার, বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট আইনবিধি সংস্কার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব মোকাবেলার লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন, ঝুঁকি বিবেচনা ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন, ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে সমন্বিত ওয়ানস্টপ শপ কার্যকর ইত্যাদি। ফলপ্রসূ আলোচনায় উভয় পক্ষই তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
এর আগে সালমান এফ রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত প্রভাবশালী দুই মার্কিন থিংকট্যাংক হাডসন ইনস্টিটিউট ও হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মার্কিন সহকারী মন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। হাডসন ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশের দ্রæত বর্ধনশীল অর্থনীতি : সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মাননীয় উপদেষ্টা একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। এতে শিক্ষাবিদ, গবেষক, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যম ও নীতি এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে সালমান ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আকর্ষণীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহŸান জানান। গোলটেবিল বৈঠক পরিচালনা করেন মার্কিন থিংকট্যাংক কমিউনিটিতে প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ও হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া পরিচালক হুসেন হাক্কানি। এই গোলটেবিল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এরপর মাননীয় উপদেষ্টা একটি প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন ও সবার প্রশ্নের উত্তর দেন।
এছাড়া শুক্রবার সকালে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সালমান ফজলুর রহমান। তিনি উপস্থিত শিক্ষাবিদদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকৃত তথ্য ও সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুণে বাংলাদেশ আজ প্রশংসনীয় এ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের ইতিবাচক বিনিয়োগ পরিবেশের ওপর আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে দু’জনই আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন। এ সময় আসছে দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো বিস্তৃত ও গভীর করার বিষয়ে দু’জন গুরুত্বারোপ করেন। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।