Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নবান্ন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

‘মাঠে মাঠে জাগছে কৃষক, ধান কাটা আজ শুরু/শূন্য বুকে পূর্ণতার সুখ, করছে দুরু দুরু’। কবির এই কবিতার মতো কৃষক ধান কাটা শুরু করুক না করুক আজ পহেলা অগ্রহায়ণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি’র মতোই সত্যিই গ্রাম বাংলার মাঠে ধানক্ষেত এখন মধুর হাসিতে ভরপুর। গ্রামবাংলায় নতুন ধানের ঘ্রাণ আর নবান্নের বার্তা নিয়ে আসে এই অগ্রহায়ণ।

ক্যালেন্ডারের পাতায় বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। ছয় ঋতুর বৈচিত্রময় প্রকৃতি। প্রতিটি ঋতুই নিজ নিজ সাজে সজ্জিত করে তোলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিকে। গ্রীষ্মের তাপদাহে রুদ্ররূপ, বর্ষায় বিরহিনী বৃষ্টি, শরতে স্নিগ্ধময়ী, হেমন্তে কুয়াশার অবগুণ্ঠনে ঢাকা হৈমন্তিকা বয়ে আনে শুভবার্তা।

অগ্রহায়ণ হচ্ছে নবান্নের মাস। ‘নবান্ন’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ ‘নতুন অন্ন’। এর অন্য অর্থ ‘দুধ, গুড়, নারিকেল ও কলা প্রভৃতির সঙ্গে নতুন ধানের আতপ চালের পিঠা খাওয়ার ধুম। অগ্রহায়ণ মাসের শুরু মানেই পিঠা-পুলির গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক পরিবারে। এ মাসে আমন ধান কাটা শুরু হয়। গ্রামীণ জীবনে আমন ধান ঘরে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় উৎসব। বাড়ি বাড়ি তৈরি হয় শত রকমের নবান্নের পিঠা। আত্মীয়-স্বজনের আগমনে মুখরিত হয় পুরো বাড়ি।
বিজ্ঞানের এই যুগেও নবান্ন উৎসব পালিত হয় ঘরে ঘরে। ইট পাথরের রাজধানী ঢাকা শহরেও নবান্নের উৎসব হয়ে থাকে। নবান্নের উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলা ও ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ‘নবান্ন উৎসব’ উদযাপন করা হয়। এছাড়া জাতীয় যাদুঘর, শিল্পকলা, শিশুএকাডেমীসহ সারাদেশের জেলায় জেলায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। বিশেষ করে চারুকলার বকুল তলায় উৎসবে নাচ, গান, আবৃত্তি, নবান্ন শোভাযাত্রা, আদিবাসী পরিবেশনাসহ বিভিন্ন পরিবেশনা হয়ে থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ