Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয় এখনই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসতে চান না

সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এখনই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসতে চান না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জনান। সজীব ওয়াজেদ জয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জয়ের ইচ্ছার ব্যাপারও আছে। এ ব্যাপারে নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) কিছু বললে তিনি বলেন, জয় তো আসতে চায় না। এখনো তার আসার আগ্রহ নেই। আমাদের পার্টির সভাপতি শেখ হাসিনা, এটা তার সিদ্ধান্ত। জয় তো আছেনই। আমি বারবারই নেত্রীকে বলে আসছি যে, জয়কে গ্রুমিং করার বিষয়টা। এটা নেত্রীর সিদ্ধান্তের ব্যাপার। জয়ের নিজেরও ইচ্ছার ব্যাপার আছে।

তিনি বলেন, জয় নিজে যেভাবে আছেন সেভাবেই আপাতত থাকতে চান। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের কোনো পদে আসতে চান না। যেমন- পীরগঞ্জে তাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য অনেকে দাবি করেছিল; কিন্তু তিনি রাজি হননি। জয় যখন বাংলাদেশে আসবেন, আপনারা তাকেও জিজ্ঞেস করতে পারেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী নন। বিএনপি নেতারা বলেছেন তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে জেল থেকে বের করে আনবেন। তারা বারবার বলছেন, আইনি লড়াইয়ে খালেদার মুক্তি হবে না। আমরা তাদের দুর্বার আন্দোলন দেখার অপেক্ষায় আছি।

আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে সংসদ সদস্যদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী না হওয়ার আহŸান জানিয়ে কাদের বলেন, যারা এমপি হতে পারেননি তারা যেন নেতা হওয়ার সুযোগ পান। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা জেলা পর্যায়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন। কারণ কেন্দ্রের সঙ্গে তাদের সমন্বয় করতে হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। আগামী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের কমিটি বর্ধিত করার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক শেখ হাসিনা। তিনি কাকে নেতা বানাবেন কাকে বাদ দেবেন, সেটা নেত্রীর এখতিয়ার।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে যে পরিমাণ কাউন্সিলর থাকবেন, তার সমপরিমাণ ডেলিগেট থাকবেন। দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রে সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা তাদের চিঠিতে মতামত জানিয়ে দিতে পারেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মুজিব বর্ষকে কালারফুল করতে চাই। মুজিব বর্ষ পালনের মূল অনুষ্ঠানে অনেক বিদেশি অতিথিকে দাওয়াত দেয়া হবে। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাদের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ