পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ রেল স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত রেলের বিভাগীয় পর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামছুজ্জামানের কাছে জমা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
বিভাগীয় পর্যায়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহŸায়ক মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষ সময় থাকলেও এক ভাগ কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া যায়নি। গতকাল শুক্রবার আবারো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে জমা দেয়া হয়।জানা গেছে, দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথার ট্রেনচালক তাছের উদ্দিন ও সহকারী চালক অপু দে’কে দায়ী করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ী করা হয়েছে গার্ড আবদুর রহমানকেও।
সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ট্রেন চালানোর সময় দুই চালকই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ বিষয়ে কমিটি নিশ্চিত হয়েছে। তবে ইঞ্জিনের ডেডম্যান প্যাডেল সচল ছিল কিনা বা সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কি বলা হয়েছে তা জানা যায়নি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৯৯ ভাগ তদন্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর মন্দবাগ রেল স্টেশনে তূর্ণা এক্সপ্রেস ও উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের কারণ ও বেশ কিছু সুপারিশের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করা হয়।
বিভাগীয় পর্যায়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ পাওয়া ঠিকাদাররা সর্বোচ্চ সিকিউরিটি মেইনট্ইেন করে কাজ করেছেন।
কংক্রিট বা বালুর কারণে তূর্ণার চালক (লোকোমাস্টার) সিগন্যাল দেখতে না পাওয়ার বিষয়টিকে সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্রেনের সম্পূর্ণ ব্রেকিং দূরত্ব ৪৪০ গজ।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে তূর্ণা নিশিথার চালক, সহকারী চালক, গার্ড, স্টেশন মাস্টারসহ ১৭ জনের। তদন্তে দেখা গেছে, রেলস্টেশনের চারটি সংকেতের মধ্যে দু’টি লঙ্ঘন করেছেন তূর্ণা নিশিথার চালক। বিপদ সংকেত দেখার পর চালক ‘এয়ার ব্রেক’ আরোপ হয়েছে এমন দাবি করলেও তদন্ত কমিটি এর সত্যতা পাননি। তদন্তকারি দল বলছে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কার্যকর রেখে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যদিও তদন্ত কমিটির দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে ট্রেন চালকদের সংগঠন। জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাণহানি ঠেকাতে চালক ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঞ্জিন যাতে বন্ধ হয় সে ব্যবস্থা সংযোজনের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
১৯৬১ সালের রেল আইনে দায়িত্বে গাফিলতির সাজা বহিষ্কার অথবা পদাবনতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।