পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারী ও শিশু নির্যাতনে অভিযুক্ত ২টি ও মানব পাচারের অভিযোগে ২টিসহ মোট ৪ টি মামলার আসামীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নার্সিং কাউন্সিলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে পূণ:নিয়োগের চেষ্টা চলছে। ইতিপূর্বে ওই কর্মকর্তা নার্সিং কাউন্সিলে ডেপুটি রেজিষ্ট্রার হিসেবে দায়িত্বপালনকালে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়। সম্প্রতি আদালত থেকে এসব মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় তিনি পূর্বের পদ (ডেপুটি রেজিস্ট্রার) ফিরে পেতে বর্তমান রেজিস্টার বরাবর আবেদন করেন।
এছাড়া কাউন্সিলের বর্তমান রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগমের চাকরির মেয়াদ শেষের দিকে থাকায় একই সঙ্গে তিনি রেজিস্ট্রার হওয়ার জন্যও মন্ত্রনালয়ে তদবির শুরু করেছেন। আর এসবই তিনি করছেন ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত ও কারাবাসের তথ্য গোপন করে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের ওই কর্মকর্তার নাম রাশিদা আক্তার। তিনি বর্তমানে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। কিন্তু নারী শিশু নির্যাতন ও মানব পাচারের মত গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে চার মাস কারাবরণ করেছেন। পরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মামলা থেকে অব্যহতি পান। এর আগে হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতলে কর্মরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ প্রমানিত হলে তাকে সেখান থেকেও অব্যহতি দেয়া হয়। নার্সিং পেশায় কর্মরতরা বলেন, এমন একজন ব্যক্তিকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা দেখতে চান না। তারা জানান, যিনি নার্সিং শিক্ষার্থীদের নিবন্ধ প্রদান করবেন তাকে অবশ্যই স্বচ্ছ এবং অভিযোগহীণ হতে হবে। তাছাড়া সরকারি চাকরির বিধিমালা অনুসারে সে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে পুণরায় অধিষ্ট হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব (নার্সিং) ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী বলেন, কোন ব্যক্তি যদি ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সাজা ভোগ করেন তাহলে তিনি এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের যোগ্যাতা হারিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে খুলনা জলোর পাইকগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা (মামলা নং -২৯) করা হয়। একই বছর পহেলা ডিসেম্বর মাসে আবারো একই অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনা সদর থানায় তাকে আসামী করে মামলা (মামলা নং- ২) করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে ৩ ফেব্রæয়ারি খুলনা জেলার পাইকগাছা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা (মামলা নং - ৫) করা হয়। একই বছরে ২ মার্চ একই আইনে পুনরায় রাশিদা আক্তারকে আসামি করে খুলনার রূপসা থানায় মামলা (মামলা নং - ৫) করা হয়। এসব প্রতিটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে দেখা গেছে, প্রতিটি মামলার রায়ে মামলার সাক্ষী ও কোনক্ষেত্রে এজাহারকারীদেরকে অনুপস্থিত থাকার কারণে আদালত তাকে এ মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দিয়েছে। আর এই সুযোগটিই তিনি কাজে লাগাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন।
এদিকে নার্সিং কাউন্সিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানান, রেজিস্ট্রার এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি অধিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। এখানে চারটি মামলার আসামি দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তা সমীচীন হবে না। তাছাড়া তিনি এই পদে আসতে প্রয়োজনীয় সকল দুর্নীতি গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। এদিকে এসব বিষয়ে নার্সিং কাউন্সিলে জানাজানি হওয়ায় অভিযুক্ত রাশিদা আক্তার তার বিরুদ্ধের সকল ফৌজদারি মামলা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে উলেখ করে অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন। জানতে চাইলে রাশিদা আক্তার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সত্য নয়। যারা মেধা ও যোগ্যতায় তাকে ধরতে পারবে না, তারাই এসব অভিযোগ ছাড়াচ্ছে। সামগ্রীক বিষয়ে নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম বলেন, রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সম্পর্কে তিনি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।