Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জে সুরমার এক সেতু দিয়েছে অনেক কিছু

টাংগুয়ার হাওরে ঢল নামে পর্যটকদের

হাসান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সুনামগঞ্জ হচ্ছে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর একটি। উত্তর-পূর্ব ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশ ঘেঁষা এ জেলা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রেই অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে সুরমা নদীর ওপর একটি সেতু বদলে দিয়েছে জেলার চেহারা।

সুনামগঞ্জে রয়েছে ছোট বড় অন্তত ৪২টি নদ-নদী। আছে দুই শতাধিক হাওর। বোরো ধান উৎপাদনে দেশের শীর্ষে জেলার স্থান। যোগাযোগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা জেলায় সুরমা নদীর ওপর সেতু উদ্বোধনের পর থেকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সুরমা নদীর সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর এলাকায় প্রায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি ২০১৫ সালের ২০ আগষ্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুর নামকরণ করা হয় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি জননেতা আব্দুজ জহুর-এর নামে।
একটি সেতু জেলা সদরের সঙ্গে জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলাকে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। এতে চার উপজেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হয়েছে। একই সঙ্গে নভেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত চার মাস দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাংগুয়ার হাওরে ঢল নামে পর্যটকদের।
ওই সেতুর বদৌলতে এই চার মাস ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ও পর্যটক আসেন। তবে চার মাসের মতো ঢল নামে না। এখন হাওর বাওরে হিমেল হাওয়ায় দুল খাওয়া লাল শাপলার সৌন্দ্যর্য উপভোগ করেন লোকজন।
সেতুর ওপর দিয়েই পর্যটকদের যেতে হয় যাদুকাটা নদী, বারেকের টিলা, শহীদ সিরাজী লেক, টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প, টাংগুয়ার হাওর, শিমুল বাগান, বিকিবিল, শাহ অরেফিন মাজার টিলা ও মহাপ্রভু শ্রী অদ্বৈত জন্মধামসহ অন্তত ১০ থেকে ১২টি স্পটে।
অপরদিকে জেলা শহরে ঘুরে বেড়ানোর মতো তেমন কোনো জায়গা ছিল না। সেতু হওয়ার পর সুরমা নদীর দুই তীরে পরিবারের লোকজন পুরো বিকাল কাটিয়ে দেন। সেতুর ওপর থেকে সন্ধ্যায় দেখা যায় সীমান্তের ওপারে মেঘালয় রাজ্যের বালাহাট এলাকা। হেড লাইটের আলোতে যানবাহন চলাচলের দৃশ্য সবাই উপভোগ করেন। বিশেষ করে পাহাড় ঘুরে চলাচলের জন্য এক ঘণ্টার ব্যবধানে একই এলাকায় যানবাহনের হেড লাইটের আলো দেখা যায়।
আর বর্ষা মৌসুমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে মেঘালয় থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোত ও সুরমা নদীর কলতান উপভোগ করেন শহরবাসীসহ পর্যটকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ