পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শ্রমিকদের ন্যায্য ও যৌক্তিক আইনি সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সউদী আরবসহ বিদেশে নারী গৃহকর্মী না পাঠানোর দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল নারী সংগঠনসমূহ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবিসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়। প্রগতিশীল নারী সংগঠনসমূহের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একই সঙ্গে আগামী রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ ও মিছিল করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সউদী আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট দয়িত্বপ্রাপ্ত শাখা প্রবাসী নারী গৃহশ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের অধিকার এবং সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে চরম উদাসীনতা ও দায়িত্বহীন ভ‚মিকা পালন করছে। দেশে ফেরত আসা শ্রমিকরা এর বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, এসব মর্মান্তিক ঘটনা ও মানবিক বিপর্যয়ের পরও আমরা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। বরং মন্ত্রণালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সউদী আরবে নিযুক্ত নারী কর্মীদের ব্যাপারে দায়িত্বহীন ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। যা একদিকে বিস্ময়কর, অন্যদিকে আপত্তিজনক।
প্রগতিশীল নারী সংগঠনসমূহের দাবি তুলে ধরে সিপিবির নারী দলের সমন্বয়ক ল²ীরাণী চক্রবর্তী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে নারী শ্রমিক পাঠানো হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত, আইন ও বিধি অনুযায়ী উপযুক্ত মজুরি কার্যকরে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গৃহকর্মী ও শ্রমিকদের শারীরিক-মানসিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকার ও সউদী সরকারের মধ্যে প্রয়োজনীয় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর ও দ্রæত বাস্তবায়ন করতে হবে। নিয়োগকর্তার নাম, বাড়ি ও কর্মস্থলের বিস্তারিত ঠিকানাসহ অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সব তথ্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ থাকা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেটে অভিবাসী গৃহকর্মী নারী শ্রমিকদের অধিকার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক ডেস্ক চালু এবং এ ব্যাপারে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশের যেসব রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে নারী ও গৃহশ্রমিক পাঠায় তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য, কী চুক্তি ও শর্তে নারী গৃহশ্রমিক বিদেশে পাঠানো হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্যাবলি আবশ্যিকভাবে মন্ত্রণালয়ে থাকতে হবে। প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিদেশে প্রতারিত হয়ে যেসব নারী ফিরে এসেছেন তাদের আর্থিক, সামাজিক ও পারিবারিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।