পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদেরকে কর দিতে হবে। সরকার দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে তথা দেশকে এগিয়ে নিযে যেতে আয়কর আদায় করে। তাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে দেশের সার্বিক কল্যানে আয়কর দিতে হবে। পিছিয়ে পড়া মানুষদের আমাদেরকে অবশ্যই অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে। আর সে জন্য প্রয়োজন অর্থের। আর আয়করের মাধ্যেমে সেই অর্থ জোগাড় করা হয়। আয় কর প্রদানের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় দায়িত্বও পালিত হয়। কেননা আমাদের আয়ে রয়েছে পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার। রয়েছে তাদেরকে অংশ দেওয়ার বিষয় ধর্মীয় নির্দেশনা। তাই কর প্রদানের মাধ্যমে আমাদের সে দায়িত্বও পালিত হয়। তাই সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে অবশ্যই আমারা সকলে কর প্রদান করব।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে জাতীয় আয়কর মেলা ২০১৯-এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া এবং সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মেলা উদ্বোধনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়কর মেলায় তাঁর ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সাবেক অর্থ সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী এই রিটার্ন দাখিল করেন। এর পরেই কর প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল করের তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর আমি আমার সম্পত্তি সন্তানদের নামে হস্তান্তর করে দিয়েছি। এ কারণে আমার সম্পদের পরিমাণ কমেছে। এবার আমার করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে আয়কর দিয়েছি ৯১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। আমার প্রকৃত সম্পদ ৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ সময় স্ত্রী ও দুই মেয়ের করযোগ্য আয়, সম্পদের পরিমাণ ও কর পরিশোধের তথ্যও তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার স্ত্রীর করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তিনি কর দিয়েছেন ৭১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। আমার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আমার বড় মেয়ের করযোগ্য আয় ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে কর দিয়েছেন ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। তার সম্পদের পরিমাণ ৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর আমার ছোট মেয়ের করযোগ্য আয় ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এতে সে কর দিয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। তার সম্পদ ৬১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল করদাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতে কর আহরণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের অনিয়ম আমরা সহ্য করব না। করদাতার সাথে কোন কর কর্মকর্তা যদি অসদাচারন করেন কিংবা অবৈধ প্রস্তাব দেন, সেটি তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অত্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কর দিতে পারা একটা আনন্দের ব্যাপার। তিনি কর দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন।
ঢাকায় মেলার প্রথম দিনে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে আয়কর বিবরণী জমা দেন করদাতারা। এবার কর মেলা উপলক্ষে এনবিআর মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ও কর সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত ওয়েবসাইট চালু করেছে। ওয়েবসাইট থেকে আয়কর ফরম ডাউনলোড করে সেটি দাখিল করার সুযোগ আছে। মেলায় নতুন করদাতারা ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিতে পারবেন। আবার পুনঃনিবন্ধন করে ই-টিআইএন নিতে পারবেন পুরনো করদাতারা। এ ছাড়া মেলায় ই-পেমেন্টের জন্য পৃথক বুথ রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য আছে আলাদা বুথ।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।