পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সাত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ২৩ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পাহাড়, হাওড়, চর ও প্রত্যন্ত এলাকায় সবার ঘরে বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, এই দেশটা আমাদের। দেশের ও জনগণের সম্পদ রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। সম্পদ যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এর মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব।
উন্নয়ন সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার পূনর্ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও সঞ্চালন করে যাচ্ছি। যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছেন। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যাতে উন্নয়নের ফল পায় সে লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়ন মানে শুধু শহরের মানুষের উন্নয়ন না। গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের উন্নয়ন আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যাতে তাদের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, খাদ্য , শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা যায়।’
আজ প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ৭ টি বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো- আনোয়ারা ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, রংপুরে ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলীতে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিকলবাহায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটিয়ায় ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেঁতুলিয়ায় ৮ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গাজীপুরে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে দ্রুত কাজ করছে।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতাধীন ২৩ উপজেলা হলো- বগুড়ার গাবতলী, শেরপুর, শিবগঞ্জ, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, ফরিদপুরের মধুখালী, নগরকান্দা, সালথা, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর, নবীগঞ্জ, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, মহেশপুর, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ, নাটোরের বড়াইগ্রাম, লালপুর, সিংড়া, নেত্রকোনার বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ এবং পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।