পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়ার ঘটনায় গতকাল নগরীর বিভিন্নস্থান থেকে ছাত্রলীগের আরও চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো রাজশাহী মহানগরীর সিপাইপাড়া মহল্লার বাহারাম বাদশার ছেলে মাহাবুব হোসেন (১৯), একই এলাকার সাহেদ আলীর ছেলে নাঈম ইসলাম (১৯), নূর হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন শিপন (২০) এবং শিরোইল কলোনি এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে নাইমুজ্জামান (১৯)। সবাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। এই নিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো। তবে এজাহারে উল্লেখ করা নামের কেউই এখনো ধরা পড়েনি।
উল্লেখ্য, মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে ২ নভেম্বর সকালে প্রিন্সিপাল ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ঐদিন দুপুরে প্রিন্সিপালকে লাঞ্ছিত করার পর টানতে টানতে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে আসামি করে রাতেই নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন প্রিন্সিপাল।
কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ঘটনাটি তদন্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার কমিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে ঘটনার সত্যতার প্রমাণও মিলেছে। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে ঘটনাটি তদন্ত করা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। একইসঙ্গে রাজশাহী পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে মূল আসামিরা এখনো অধরা থাকায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গতকাল সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করে ঘটনার নিন্দা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।