Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুলিস্তানে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রাজধানীর গুলিস্তান অলেম্পিক ভবন সংলগ্ন মোড় থেকে সানি (৫) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির লাশের বস্তার ভেতরে একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে। গত রোববার দিবাগত রাতে ওই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের পরিবারের ধারণা, মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে প্রতিশোধ নিতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধ করে হত্যার পর শিশুটিকে ওই জায়গায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরিচিত কেউ ক্ষোভের বশীর্ভূত হয়ে শিশুটিকে হত্যা করেছে বলে চিরকুট দেখে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে পরিবার।
শিশুটির মা ঝর্ণা বেগম বলেন, তারা গুলিস্তান স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার ফুটপাথে থাকেন। তিন ছেলের মধ্যে সানি মেঝো। ছোট ছেলে বাহারও (৩) ৬ মাস ধরে নিখোঁজ। তাকে একই এলাকার আরেক ভবঘুরে বাদল চুরি করে নিয়ে গেছে বলে ধারণা তাদের। সানির বাবা সাগর শেখ একটি মামলায় ৮ মাস ধরে কারাগারে আছে। ঝর্ণা বলেন, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে সানি, ও রুবি নামে এক শিশুর সঙ্গে স্টেডিয়ামের বারান্দায় টিভি দেখছিলো। এরপর রুবি চলে আসলেও সে ওইখানেই ছিলো। এরপর অনেক রাত হয়ে গেলেও সানি আর আসেনি। রুবি জানায়, এক লোক সানিকে মজা খাওয়াতে চেয়েছিলো। কিন্তু সানি তখন তার সঙ্গে যায়নি। এরপর রুবি চলে এসেছে। পরে কি হয়েছে সে আর জানে না। পরে গুলিস্তান, শাহবাগ, হাইকোর্ট এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, ওই এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী ল্যাংরা রাসেল, পিন্টু, পায়েল, হিরা, টুপি জুয়েল, কালামরা বিভিন্ন সময় তাদের কাছে টাকা দাবি করতো। টাকা না দিলে তাদের মারধরও করা হতো। মাঝেমাঝে হুমকি-ধামকিও দিতো। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে সানির লাশের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে জানিয়ে শিশুটির খালু কমিউনিটি পুলিশের সদস্য চাঁন মিয়া বলেন, ওই চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘চাঁন মিয়া + জন্না পোলা মেরে পেলেছে ২০ হাজার বশর জেল’।
এ বিষয়ে পল্টন মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ওই জায়গায় তোশক দিয়ে ঢেকে ফেলে রাখা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ