Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দেশের উপক‚লীয় জনপদের প্রায় দেড় কোটি মানুষের কাছে বিভীষিকাময় ১২ নভেম্বর আজ। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর রাতে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার বেগে ৩০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ¡াস নিয়ে ঘূর্ণিঝড় হ্যারিকেনের আঘাতে তৎকালীন বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী উপক‚লের ১০টি জেলার বিশাল জনপদ মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। কেড়ে নিয়েছিল ৫ লাখ মানুষের জীবন। ভয়াল সে কালো রাতে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ প্রথমে নিখোঁজ থাকলেও পরে আর তাদের কোন সন্ধান মেলেনি।

উপক‚লের ৭১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সে রাতে যে ভয়াবহ বিভীষিকা নেমে এসেছিল তার নজির এখনো গোটা বিশ্বে বিরল। তাই নভেম্বর এলেই গোটা উপক‚লীয় এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে থাকেন। ’৭০ এর ৫ নভেম্বর আন্দামান সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হ্যারিকেনের সতর্কতা প্রথম অবহিত করেছিল মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা। আগাম সতর্কতা দেয়া হলেও তৎকালীন পাকিস্তান সরকার উপক‚লবাসীকে সতর্ক করেনি। ফলে ইতিহাসের ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটে। এবারো ’৭০ এর হ্যারিকেনের ছোবলে নিহতদের স্মরণে ভোলাসহ উপক‚লীয় বিভিন্ন এলাকায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
তবে দুর্যোগের পরে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাষকদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হয়নি। তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলের ১০ দিন পরে। ঘূর্ণিঝড়ের পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭০ এর নির্বাচনী প্রচারণা ফেলে রেখে ভোলার উপদ্রুত এলাকায় ছুটে যান মানুষের পাশে দাঁড়াতে। মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীও উপদ্রুত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ান। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপড়তায় অংশ নেন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ