Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

আজ ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তখনকার স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় প্রাণ হারান তিনি। বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লেখা তার ছবিটি আজও পৃথিবীর সকল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদের এক অনন্য প্রতীক। গণতন্ত্র মুক্তির জন্য তিনি মরে হয়েছেন অমর। তার মৃত্যু ঘটনাটি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে এবং স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে।

মৃত্যুর পর তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকার নাম শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার করা হয় এবং ১০ নভেম্বরকে শহীদ নূর হোসেন দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটি উপলক্ষ্যে পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগ সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের আয়োজন করেছে। এদিকে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সকাল ৮টায় শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে (জিরো পয়েন্ট) পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।

 

পৈত্রিক ভিটায় স্মৃতি রক্ষার দাবি গ্রামবাসীর
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নব্বইয়ের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের জন্মভিটা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নিভৃত পল্লী সাপলেজা ইউনিয়নের ঝাঁটিবুনিয়া গ্রামের বাড়িতে স্মৃতি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তার স্বজন ও গ্রামবাসীরা। দুর্ভাগ্য এই যে পৈত্রিক ভিটায় তার স্মৃতি সুরক্ষায় আজও গড়ে ওঠেনি কোন স্মৃতি স্তম্ভ।

নূর হোসেনের চাচাত ভাই স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম মো. রুহুল আমীন হাওলাদার নূর হোসেনের পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করেন। তিনি জানান, নূর হোসেনের বাবা দেশ স্বাধীনের আগে কাজের সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় যান। সেখানে তিনি অটো রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নূর হোসেনের জন্ম ঢাকায়। তারা চার ভাই ও এক বোন। নূর হোসেন দ্বিতীয় সন্তান। তার অপর ভাইয়েরা হলেন আলী হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও বোন শাহানা বেগম। সকলেই ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।

জানা গেছে, ঢাকায় মঠবাড়িয়ার কয়েকজন তরুণ মিলে শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতি রক্ষায় ‘জাগো লক্ষ নূর হোসেন’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এছাড়া নূর হোসেনের গ্রাম ঝাঁটিবুনীয়া ও পূর্ব সাপলেজা গ্রামের কতিপয় তরুণ মিলে গড়ে তোলেন নূর হোসেন স্মৃতি পরিষদ। সংগঠন দুটি শহীদ নূর হোসেন দিবসে স্মরণসভার আয়োজন ছাড়া কিছুই করতে পারছে না।

নূর হোসেন স্মৃতি পরিষদের অন্যতম উদ্যোক্তা মো. নূরুল আমীন রাসেল বলেন, ১৯৯২ সালে আমরা গ্রামের তরুণরা মিলে সংগঠনটি গড়ে তুলি। কিন্ত সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা ও স্থানীয় উদ্যোক্তাদের তেমন সাড়া না পেলেও আমরা তরুণরা মিলে দিবসটি কোনমতে পালন করে আসছি। তবে শহীদ নূর হোসেনের পৈত্রিক ভিটায় একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ ও একটি পাঠাগার নির্মাণের দাবি জানাই।

মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শহীদ নূর হোসেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। সে মঠবাড়িয়ার বরেণ্য সন্তান। তার স্মৃতি রক্ষায় পৈত্রিক ভিটে মাটিতে কোন কিছু গড়ে ওঠেনি। আমি মঠবাড়িয়াবাসীর পক্ষ হতে তার পৈত্রিক ভিটে মাটিতে স্মৃতি রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।



 

Show all comments
  • MD Iqbal Kabir Shamrat ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    শহীদ নূর হোসেন নেই, যারা শহীদ করেছিল তারা আছে,,
    Total Reply(1) Reply
    • Yourchoice51 ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ২:১৭ এএম says : 4
      I'm sorry too.... the culprit police is still there......they eat the "halwa-ruti" under every regime..... killing is their fun!
  • M A Jabbar ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    নামে মাত্র শহীদ দিবস! শহীদ নুর হোসেন হত্যার স্বৈরাচারী নায়করা আজ কে কোথায় প্রতিষ্ঠিত?
    Total Reply(1) Reply
    • Yourchoice51 ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ২:১৪ এএম says : 4
      The chief autocrat went in the grave; others are on the same route.
  • Kamrun Nahar Sume ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    আজ মহান "শহীদ নূর হোসেন দিবস" গণতন্ত্রের জন্য বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছে রাজপথে। ক্ষমতার সিংহাসন থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে এনেছিল স্মরণ কালের শ্রেষ্ঠ স্বৈরাচার এরশাদ কে। আজকের এইদিনে তোমায় স্মরণ করি বিনম্র চিত্তে।
    Total Reply(0) Reply
  • Badrul Islam ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    আত্তার মাগফেরাত কামনা করছি
    Total Reply(0) Reply
  • Kamrul H. Chaupol ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    Respect to you Noor Hossen. I was there that day...
    Total Reply(0) Reply
  • মজলুম জনতা ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:৪৪ এএম says : 0
    স্বৈরাচার নিপাত যাক,গনতন্ত্র মুক্তি পাক।তোমার অবদান স্বরনীয় হয়ে থাকবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Yousof ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৩১ এএম says : 0
    কি প্রয়োজন ছিলো এই দিবসের ছবি চাপানোর তোমাদের দালালী করলে তো চলতো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ