পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংসদের শোক প্রস্তাবে সাদেক হোসেন খোকার নাম প্রধানমন্ত্রী উচ্চারণ না করায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সংসদের শোক প্রস্তাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকার নাম উচ্চারণ করেননি, এটা কি তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? এই কি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসা?’
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ‘৭১ থেকে ’৭৫ শাসনামলের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এখন একইভাবে জনগণকে নির্যাতন করা হচ্ছে। ক্ষমতার জন্য সরকার শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করছে। সেখানে মেধাহীন করা হচ্ছে, ব্যবহার হচ্ছে অস্ত্রের। তিনি বলেন, শিক্ষিত সমাজ ধ্বংস করা হচ্ছে, কারণ তারা জানে সমাজে শিক্ষিত থাকলে প্রতিবাদ আসবেই। তারা প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না। গুম-খুন-হত্যা একের পর এক চলছে। কোনো বিচার নেই।
সেলিমা বলেন, একের পর এক নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, হত্যার শিকার হচ্ছে। শুধু নুসরাতের হত্যাকারীদের আড়াল করতে না পেরে তাদের ধরা হয়েছে। যখন সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই তখন দু-একটা ঘটনা দেখানো হচ্ছে মানুষের মনোযোগ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য যে, আমরা সবকিছু করছি। দুর্নীতির জন্য তারা যে অভিযান চালাচ্ছে সেটাও একটা আইওয়াশ। এভাবে তারা দুর্নীতি করে একের পর এক দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
‘যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয় তারা ৭ নভেম্বর মানতে চায় না’ মন্তব্য করে সেলিমা বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের একটা উজ্জ্বল দিবস, উজ্জ্বল অধ্যায়। জিয়াউর রহমান জনগণের আস্থা নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি করেন। সেই জাতীয়তাবাদী দল এখন পর্যন্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি না হলে আমরা এখন পর্যন্ত এভাবে লড়াই করে যেতে পারতাম না। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে সাড়ে তিন বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন এবং বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
খালেদা জিয়াকে সরকার মুক্তি দেবে না উল্লেখ করে সেলিমা আরও বলেন, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আরও সংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহাতাবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।