পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, এই অগ্রযাত্রা রুখে দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। এখন সময় বাংলাদেশের, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার এই ধারায় আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সাত বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। সব বড় প্রকল্প চট্টগ্রামে দিয়েছি। তিন বছর পর চট্টগ্রাম শহর চিনতে পারবেন না। দেশের রাজস্ব আয়ের ৮০ শতাংশ চট্টগ্রাম থেকে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। চট্টগ্রামকে ঘিরেই বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখে।
রোববার চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা রেডিসন ব্লু হোটেলের মেজবান হলে চট্টগ্রাম চেম্বারের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোস্তফা কামাল বলেন, প্রত্যেক জাতির সামনে সুযোগ আসে। আমাদেরও সুযোগ এসেছে। ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশের মত। যদি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারি তাহলে ২০৪০ সালে বাংলাদেশ থাকবে উন্নত বিশ্বের কাতারে। তখন আমাদের অর্থনীতি হবে পৃথিবীর ২৩তম অর্থনীতি। এমনকি থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার উপরে থাকব। এখন আমাদের রূপান্তরের সময়। সেই সুবর্ণরেখায় পৌঁছাবই। সব সূচকেই বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাপান, চীন ও ভারত আমাদের সঙ্গে আছে। তারা পরস্পর প্রতিযোগিতা করছে। আমাদের (বাংলাদেশ) ছাড়া তারা এগিয়ে যেতে পারবে না। মোস্তফা কামাল বলেন, পৃথিবীর অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসে। একসময় যারা সমৃদ্ধশালী ছিল আজ তারা নয়। একসময় আর্জেন্টিনা শীর্ষে ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে। এরপর জার্মানি, জাপান, চীন হয়ে পরিবর্তন চলছে। এখন বাংলাদেশের সময়। বাংলাদেশ এখন যেখানে দাঁড়িয়ে শত চেষ্টা করেও কেউ বাংলাদেশকে পেছাতে পারবে না। বিশ্বব্যাংক এবং গ্যালোপের বরাত দিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, তাদের পূর্বাভাস বলছে ২০১৬ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় হবে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে হবে তৃতীয়।
অর্থাৎ প্রবৃদ্ধিতে আমাদের অবস্থান তিন এর কম হবে না। কারণ আমাদের সক্ষমতা-দক্ষতা বাড়ছে। দেশের মানুষই প্রতিযোগিতা করছে কিভাবে নিজেকে এগিয়ে নেবে। কোনো শক্তি বাধা দিতে পারবে না। আমরা এগোবোই। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাত ৭২ শতাংশ অবদান রাখছে বলে জানান মন্ত্রী।
এম এ লতিফ এমপি বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সফল হবেন, চট্টগ্রাম তার সাথে আছে। ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বিনয়েত পিয়েরে লারামি বলেন, সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি করায় বাংলাদেশের সামনে ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নের সুবর্ণ সুযোগ আছে। অবকাঠামো, দক্ষ জনশক্তি ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন হলেই বাংলাদেশ লক্ষে পৌঁছাবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ওলেগ তনকনোজেনকভ বলেন, ভারত-চীন এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থল বাংলাদেশ। আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেনটেটিভ হিতোশি আরা বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন সব নয়। অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ, সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ এবং সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ। চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মিশরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত, কলকাতার বেঙ্গল চেম্বারের সভাপতি সুতনু ঘোষ, এফবিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী আবরার এ আনোয়ার। ‘দ্যা বে অব বেঙ্গল গ্রোথ ট্রায়েঙ্গেল অ্যান্ড দ্যা মেরিটাইম সিল্ক রুট “ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন কাশেম খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।