পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে নানা নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে হয়েছে বহুল আলোচিত এসপি হারুন অর রশিদকে। বদলি আদেশের পরও তিনদিন তিনি নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করেন। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পুলিশ বিভাগসহ নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে। এছাড়া পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের দুর্নীতি, অনিময়ম, চাঁদা আদায় ও জমি দখলসহ যে সব অভিযোগ রয়েছে তা আমলে নিয়ে তদন্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ সদরদফতর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট্র কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এর মধ্যে। একটি সংস্থার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে বুধবার রূপগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে এসপি হারুনকে দেখে অসন্তুষ প্রকার করার ছবি ও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রত্যাহৃত এসপি হারুন অর রশিদকে দেখে মুখ ভার করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে মন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলার একপর্যায়ে এসপি হারুনের ওপর চোখ পড়লে তিনি গম্ভীর হয়ে যান। তবে দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ, সন্ত্রাস দমন ও মাদক নিমূর্লসহ দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নানা পদক্ষেপ বরাবরই সাধারন মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বিভিন্ন অভিযোগের কারণে এসপি হারুনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে। গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এসপি হারুন অর রশীদকে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে (ট্্েরনিং রিজার্ভ) সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের দুর্নীতি, অনিময়ম, চাঁদা আদায় ও জমি দখলসহ যে সব অভিযোগ রয়েছে তা আমলে নিয়ে তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসপি হারুন চাঁদার জন্য একাধিক শিল্পপতিকে তুলে নিয়ে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখিয়েছেন। স¤প্রতি তার বিরুদ্ধে আম্বার গ্রæপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেলের কাছে চাদা দাবি ও তার পরিবারকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নানা কর্মকান্ডে বিতর্কিত এসপি হারুন অর রশিদ গাজীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ আসার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে তার বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে নানা সময়ে। এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল নারায়ণগঞ্জে।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল সাংবাদিকদের বলেন, এসপি হারুনের বিদায়ে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি এসেছে। তার হাত থেকে ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে আমাদের কর্মসূচিও দিতে হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন, ৮ কোটি টাকা চাঁদা না দেয়ায় তিনি দেশের একটি বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর কর্ণধারের স্ত্রী-সšন্তানকে বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় তুলে এনেছেন। আইনের রক্ষক হয়ে এমন কাজ যে করতে পারে তার কোন ভাবেই পুলিশ সুপারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে দেশের আরেক শিল্পপতিকেও আটকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তাই হারুনের বিরুদ্ধে উঠা সব গুলো অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম সাংবাদিকদের বলেন, হারুন অর রশিদ দায়িত্বপালনের সময়ে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সরকার দলের এমপির পক্ষে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে তার নির্দেশে থানায় জিডিও করা হয়েছে। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তার কাছে নিরাপদ ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।