Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দুদক অনেক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান তবে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে

‘নলেজ শেয়ারিং’ সেশনে ইকবাল মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আইনগতভাবে দুদক অনেক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। তবে আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ভারতের সিবিআই একাডেমিতে ‘ইনভেস্টিগেশন অব এন্টিকরাপশন কেস ইনক্লুডিং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ফ্রডস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘নলেজ শেয়ারিং’ সেশনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দুদক সিবিআইয়ের আদলে জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে মামলায় দায়েরের সাথে সাথে আইনি প্রক্রিয়ায় ওইসব সম্পদ জব্দ করতে পারে। এটি করাই সমীচীন বলে আমি মনে করি। এছাড়া ফাঁদ মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের সাথে সাথে তাদের বাসায় তল্লাশি করার বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুসারে কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। তবে আমাদের সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যে অঙ্গীকার তা বাস্তবায়নে সবাইকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজের প্রতি যেমন নিজের অঙ্গীকার রয়েছে, তেমনি নিজের দায়িত্বের প্রতিও অঙ্গীকার থাকতে হবে।

এসময় তিনি দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধানকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, জনশ্রুতি রয়েছে এমন দুর্নীতিপ্রবণ ২৮ টি দপ্তরের দুর্নীতির কুখ্যাতি রয়েছে এমন কর্মকর্তাদের গতিবিধির প্রতি দৃষ্টি রাখবেন। যাতে তারা ঘুষ খাওয়ার সুযোগ ও সাহস না পায়। এরা যেন দুর্নীতি করার ধৃষ্টতা না দেখায়। তারপরও দুর্নীতি করলেই তাৎক্ষণিকভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।

কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুদকের যেসব কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন তারা সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন বলে আমার মনে হচ্ছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। একটি উন্মুক্ত কর্মশালার মাধ্যমে যেসব সিস্টেম গ্রহণ করা যায় তা যাচাই-বাছাই করে কমিশনের কর্মপ্রক্রিয়ায় আমরা যুক্ত করবো। সেশনে অন্যান্যের মধ্যে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক এ এন এম আল ফিরোজ, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান, মহাপরিচাল(প্রশাসন) মোঃ জহির রায়হান, মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) এ কে এম সোহেল, পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী, মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ