পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে ১১ হাজার বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে রয়েছেন। তাদেরকে সরকারি অর্থে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অনেক বিদেশি নাগরিক তারা এ দেশের পাসপোর্ট নিয়ে আসে। পরবর্তীকালে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অনেকেই যান না, থেকে যান। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় আছেন। আমাদের গত সভায় সিদ্ধান্ত ছিল তাদের চিহ্নিত করা। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা তাদেরকে চিহ্নিত করেছে। তিনি বলেন, এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে, ওরা যে ফেরত যাবে তাদের কাছে টাকাও নেই। ওদের আমরা কী করব? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারের কাছে অনুরোধ করবো কিছু টাকা বরাদ্দ দেয়ার জন্য। যাতে ওই সমস্ত অবৈধভাবে বসবাসকারী লোকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া যায়। এরা যে টাইপের লোক জেলখানায় দিলেও একটা ঝামেলা সৃষ্টি করবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা অবৈধভাবে এখানে অবস্থান করছেন, এরা ভিসা নিয়ে ঠিকই ঢুকেছিলেন। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কিংবা তারা অবৈধভাবে রয়েছে কিংবা কোনো ক্রাইমে জড়িত হয়েছেন। তারাই আমাদের জেলখানায় রয়েছেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, জেলখানায় তাদের মেয়াদ শেষ হলেও দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করার পরও নিয়ে যাচ্ছে না। এ রকম সংখ্যা রয়েছে। যারা অবৈধভাবে আছে তারা ক্রাইমের সঙ্গেও জড়িত। এ সংখ্যা শুধু যে ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত ও তারা কারাগারে রয়েছে তা নয়। যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আসে তারা হয়তো তাদের অজান্তেই তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এমন সংখ্যাও আছে। এসব সংখ্যা মিলে ১১ হাজার।
কতজন অবৈধ বিদেশি কারাগারে রয়েছেন- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরেক দিন আমরা জানাব। উত্তর কোরিয়ার কোনো নাগরিক আছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আপনারা জানতে চাইলে পরবর্তীকালে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।