পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ ডিবির এসআই আরিফ। হাইএস মাইক্রোবাসের ভেতরে সিটে হেলান দিয়ে ক্লান্ত দেহে হেলে পড়েছেন টাকার বান্ডিলের ওপর। কখন ঘুমিয়ে গেছেন খেয়াল নেই, বেরসিক পাবলিক ওই অবস্থায় তাকে ক্যামেরাবন্দি করেন।
গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ-সিদ্ধিরগঞ্জ সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার রাস্তার পাশে থামিয়ে রাখা মাইক্রোবাসের ভেতরে এসআই আরিফকে টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিলের ওপর ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়। ইতোমধ্যে গতকাল সকাল থেকে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ডিবি পুলিশের এসআই আরিফ নারায়ণগঞ্জের সদ্য বিদায়ী পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের ঘনিষ্ঠ বলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশে পরিচিতি ছিল।
এ ব্যাপারে এসআই আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু না জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে ‘স্যার’ জানেন। কোন স্যার জানতে চাইলে তিনি আবারও স্যার জানেন বলে ফোন কেটে দেন।
যে ব্যক্তি এ ছবি তুলেছেন তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ সংবাদদাতাকে বলেন, ডিবি পুলিশ এমন কোন রাত নেই যে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে না। নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, অতীতে তিনিও ডিবি পুলিশের হেনস্তার শিকার হয়েছেন। মোটা অংকের টাকা দিয়েই তিনি রক্ষা পান।
গতকাল সকালে তিনি ডিবি পুলিশ লেখা হাইএস মাইক্রোবাসের পাশ দিয়ে যাবার সময় দেখেন যে গাড়ির ভেতরে এক ব্যক্তি টাকার ওপর ঘুমিয়ে আছেন। ওয়াকিটকি এবং বাংলাদেশ পুলিশ লেখা একটি ফাইল দেখে তিনি নিশ্চিত হন এরা পুলিশের লোক। তাই তিনি ছবিটি তুলে নিয়ে আসেন। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ছবিটি দেওয়ার পর তারা গাড়িতে থাকা ব্যক্তি ডিবি পুলিশের এসআই আরিফ বলে সনাক্ত করেন। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার প্রমাণ হিসেবে এ ঘটনার ছবি দেখতে চান। তার কাছে ছবি পাঠালে ছবি দেখে তিনি বলেন, টাকার উৎস সম্পর্কে তদন্ত করা হবে। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।