পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তৈরি পোশাক শিল্পে রফতানি প্রবৃদ্ধি কমার জন্য ‘আন্ডার কাট’ মূল্যের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরাও দোষী বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল সচিবালয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে পোশাক শিল্পের বিদ্যমান সমস্যাদি নিয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। পোশাক খাতে নেতিবাচক রফতানি প্রবৃদ্ধি গত আগস্টে ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, সেপ্টেম্বর চার দশমিক ৭০ শতাংশ ও অক্টোবরে ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। এনআরবির চেয়ারম্যান ও অর্থসচিব সমস্যাগুলোর বিষয়ে শুনেছেন। সে সমস্যাগুলো সমাধানে তারা কাজ করবে। আমাদের রেডিমেট গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে যে নেগেটিভ গ্রোথ (নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি) সেটা কীভাবে, সেটার গ্রোথ যাতে বাড়ে সেজন্য নেতৃবৃন্দ সাজেশন দিয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা কাজ করবেন। কিছু সমস্যা আমাদের হয় ক্লিয়ারেন্সের জন্য, জাহাজীকরণের জন্য অনেক সময় লাগে, বন্দরে দীর্ঘসময় থাকে। এছাড়াও অনেক কারণ রয়েছে। এসব ব্যাপারে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে চূড়ান্ত কথা সবগুলোই কনসিডারেশনে নিয়ে এ ব্যাপারে কাজ করে আমরা ব্যবস্থা নেব। মূলত আলোচনা হয়েছে রেডিমেট গার্মেন্টসের গত তিনমাসে যে নেগেটিভ গ্রোথ সেটি কীভাবে ফিরে আসতে পারি। গত ৩ মাস ধরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির কথা বলেছেন।
রফতানি কমার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের কোনো সমস্যা আছে কি না কিংবা বাজারে আর কোনো ইস্যু আছে কি না-এ বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, একটা সমস্যা ব্যবসায়ীদের আছে, সেটা বলি, সেটা ব্যবসায়ীদের দোষ। তারা নিজেরা নিজেরা আন্ডার কাট (দাম কমিয়ে) করে প্রাইসটা এমন অবস্থায় নিচ্ছে যে দামও পাচ্ছে না। প্রাইসের ওপর এর ইফেক্ট পড়ছে, এটা সত্যি কথা।
সভায় অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএর সভাপতিরুবানা হকসহ পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ী নেতা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।