পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান আন্দোলকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের পদধারী কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংস পরিস্থিতি এড়াতে কর্তৃপক্ষ হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। বিরোধী মতের কারণে সহিংস ঘটনার সৃষ্টি আমাদের কাম্য নয়। হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার পরও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তৃতীয় কোনও পক্ষ সুযোগ নতে পারে, অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হোক, তা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা চায় না। গতকাল বুধবার বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারীরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় এসেছিলেন, আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তারা অভিযোগ জমা দেবেন তথ্য প্রমাণাদিসহ। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় যে সেটা হওয়ার আগেই আমরা দেখতে পেয়েছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন ঘিরে একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা সেখানে অবস্থান করে অবরোধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। এর ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপাতত বন্ধ রাখার।
আন্দোলনের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, সেখানে উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে গেছে। এর ফলে আমাদের সন্তানরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমরা চাই না একে অপরের দ্বিমত প্রকাশের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হোক। সবার নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে যেন কেউ আইন নিজের হাতে তুলে না নেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে মূল অভিযোগ তথ্য-প্রমাণাদিসহ দয়া করে আমাদের কাছে উপস্থাপন করুন, আমরা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। বিশ্ববিদ্যালয় এই মুহূর্তে বন্ধ ঘোষণা হয়েছে, আমরা আশা করি সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় থাকবে এবং ছাত্রছাত্রীরা যার যার মতো যেটা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা ব্যবস্থা নেবেন।
অচলাবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্বশাসিত, সেখানে নিজস্ব প্রশাসন আছে, মহামান্য প্রেসিডেন্ট ভিসি নিয়োগ দেন, সিন্ডিকেট আছে সেখানকার বডিগুলো ভিন্ন। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি হস্তক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে করি না। সেখানে কোনও ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সরাসরি হস্তক্ষেপ করব, আইনি কাঠামোতে সেটা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনি কাঠামোর মধ্য থেকেই আমাদের হস্তক্ষেপ করতে হয়।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।